ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় রাজস্ব রোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান। শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্টদের কাছে তার পরিচয় ‘গেম্বলার বা জুয়াড়ি’ হিসেবে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের আয়নায় কাস্টমস ক্যাডার মতিউর একজন ‘ক্লিনম্যান’। একবার দু’বার নয় চারবারের সনদধারী। পঞ্চমবারের মতো অঢেল অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ১২ লাখ টাকার ছাগলকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচিত উচ্চপদস্থ এ কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে গত ১৮ বছরের ব্যবধানে চার দফা টিম গঠন করা হয়। রহস্যজনকভাবে প্রতিবারই অভিযোগের পরিসমাপ্তি ঘটে। ক্লিনম্যান হিসেবে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয় ২০০০ সালের দিকে। তিনি ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ সালে বেনাপোল বন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার ছিলেন। সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে বেপরোয়া ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। দুদক তখন দীর্ঘ সময় অনুসন্ধান ঝুলিয়ে রেখে ২০০৪ সালে অভিযোগের পরিসমাপ্তি ঘটায়।
দায়মুক্তি সনদ পেয়ে দুর্বারগতিতে নামে-বেনামে, দেশে-বিদেশে অন্তত কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগ উঠে। একই কায়দায় ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয় এবং তিনবারই অভিযোগ পরিসমাপ্তি করে তাকে ‘ক্লিন সার্টিফিকেট’দেয়া হয়।
মতিউর রহমান কাস্টমসের সহকারী কমিশনার থেকে বর্তমানে এনবিআর সদস্য হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে অন্যতম একজন। শেয়ার বাজার সংশ্লিষ্টদের কাছে তার পরিচয় ‘গেম্বলার বা জুয়াড়ি’ হিসেবে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।