ফাইল ছবি
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হচ্ছেন না সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ রোববার দিন ধার্য রয়েছে। তবে দ্বিতীয় দফায়ও তিনি দুদকের তলবে হাজির হচ্ছেন না। প্রথম দফায় সময়ের আবেদন করলেও দ্বিতীয় দফায় এখনো তিনি সময়ের আবেদন করেননি।
অবশ্য দুদকের আইনে সময় চেয়ে দ্বিতীয়বার আবেদনের সুযোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতে শিগগিরই তার ঠিকানায় সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠানো হবে। এরপর ২১ কর্মদিবস ও পরে সময়ের আবেদন করলে আরও ১৫ কর্মদিবস সময় পাবেন তিনি। তবে বিদেশে অবস্থান করায় বেনজীর যেমন দুদকের নোটিশ গ্রহণ করতে পারবেন না, তেমনি দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতেও ব্যর্থ হবেন।
বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে কমিশনের তদন্তকারী দল তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দুদক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, বেনজীর আহমেদ সম্পদ বিবরণী দাখিল না করলে দুটি মামলা হবে। দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার জন্য হবে ‘নন-সাবমিশন’ মামলা, আর বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের যেসব অবৈধ সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে আরেকটি ‘অবৈধ (জ্ঞাত আয়বহির্ভূত) সম্পদ অর্জনের’ মামলা হবে।
দুদক আইনে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ১০ বছর এবং নন-সাবমিশন মামলায় তিন বছরের সাজার বিধান রয়েছে।
দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বেনজীর আহমেদ জিজ্ঞাসাবাদে না এলে তাকে আর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সময় দেয়া হবে না। তবে অনুসন্ধান চলতে থাকবে। অনুসন্ধান শেষে অনুসন্ধানকারী দল কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে। এরপর কমিশনের অনুমতিক্রমে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
উল্লেখ্য, বেনজীর আহমেদ ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। এরপর ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক পদে দায়িত্ব পালন করেন। এ দুই মেয়াদের দায়িত্ব পালনকালে অঢেল সম্পদের মালিক হন বলে দুদকের তদন্তে উঠে এসেছে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।