ছবি : সংগৃহীত
সাত তলা ১ লাখা। আর ১০ তলা ভবনের জন্য ২ লাখ টাকা। এটা সরকারি ফি নয়, কর্মকর্তাদের ঘুষের অঙ্ক। ঘুষ না দিলে প্ল্যান পাস হয় না। এ চিত্র রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ( আরডিএ)অফিসের।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিচয় গোপন করে রোববার (৭ জুলাই) ওই অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভবন নির্মাণের প্ল্যান অনুমোদনের জন্য ঘুষ দাবি করার অভিযোগ আসে। এর প্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি নকশা অনুমোদনের জন্য ঘুষ দেয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এ বিষযে প্রয়োজনীয় ব্যবস্তা গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
রাজশাহী মহানগরীর বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলীর বাড়ির পাশে ভবন নির্মাণ করছেন গোলাম আজম। অনুমোদিত নকশার বাইরে এ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। অভিযোগ করে এরশাদ আলী পরিবার। তদন্তে অনিয়মের সত্যতা পেয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়। পাশাপাশি প্ল্যান বহির্ভূত বর্ধিত ভেঙে ফেলতে চিঠি দেয় আরডিএ। কিন্তু এ নির্দেশনা আমলে নেননি গোলাম আজম।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা বহির্ভুত বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা- মোহাম্মদ আখতারুল ইসলাম বলেন, দুদক ইনফোর্সমেন্ট ইউনিট রোববার (৭ জুলাই) সাতটি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তার মধ্যে আরডিএ অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে ভবনের প্ল্যান অনুমোদনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে থাকেন। নকশা প্রস্তুতকারীদের মাধ্যমে এ অর্থ লেনদেন হয়।
আপন দেশ/কেএইচ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।