ছবি : সংগৃহীত
নাবিল গ্রুপের ঋণ জালিয়াতির ঘটনা অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নাবিল গ্রুপের ১১ প্রতিষ্ঠানের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে দুদক। আলোচিত ওই ঋণ কেলেঙ্কারির তথ্য জানতে রোববার (৭ জুলাই) এই চিঠি দেয়া হয়। এ বিষয়ে দুদকের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। চিঠি পাওয়ার পর সাত কার্যদিবসের মধ্যে তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়।
জানা গেছে, পর্যাপ্ত নথিপত্র ও জামানত ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটিকে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে তিনটি ব্যাংক। একজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ যত টাকা ঋণ দেয়া যায় তার সীমাও লঙ্ঘন করেছে ব্যাংক তিনটি।
যার মধ্যে ইসলামী ব্যাংক দিয়েছে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৫০ কোটি টাকা। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দিয়েছে ১ হাজার ১২০ কোটি টাকা। ২০২২ সালে ওই জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। একাধিক গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবরও প্রকাশিত হয়।
চিঠিতে ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম চাক্তাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান, একই জেলার জুবলী রোড, শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান, খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, গুলশান কর্পোরেট শাখা ঢাকা, রাজশাহী ও নিউমার্কেট শাখা, রাজশাহী এবং পাবনা শাখা, পাবনার গ্রাহক নাবিল গ্রুপের ১১টি প্রতিষ্ঠানের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
নাবিল গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে
নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেড, নাবিল কোল্ড স্টোরেজ, নাবিল ফিড মিলস লিমিটেড, নাবিল অটো রাইস মিল, নাবিল অটো ফ্লাওয়ার মিল, শিমুল এন্টারপ্রাইজ, নাবা এগ্রো ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, আনোয়ারা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, নাবা ফার্মা লিমিটেড, নাবিল গ্রীন ক্রপস লিমিটেড ও ইন্টারন্যাশনাল প্রোডাক্ট প্যালেস।
আরও জানা গেছে, একই তথ্য জানতে ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছিল দুদক।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।