ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগবাণিজ্যে দুদকের মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদারসহ ৫ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। এ ঘটনায় একজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে দুদক।
বৃহস্পতিবার ( ১১ জুলাই) দুপুরে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।
অভিযুক্তরা হলেন- মাদারীপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার, সাবেক টিএসআই গোলাম রহমান, পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল সহকারী পিয়াস বালা, সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন, সাবেক কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া দোষ না পাওয়ায় আরেক আসামি মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের হায়দার ফরাজীকে অব্যাহতি দিতে সুপারিশ করেছে দুদক।
আরও পড়ুন<<>> দুদকের চার্জশিটের পরও এসপি সুব্রত’র চেয়ার নড়েনি
দুদকের মাদারীপুর কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ২৮ পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হেড কোয়ার্টার। পরে ওই বছরের ২৬ জুন ৩১ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারীকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগেই গত ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন কয়েক ধাপে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আসামিদের কাছ থেকে গচ্ছিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের একটি বিশেষ দল। পরে অনুসন্ধানে পুলিশ হেড কোয়ার্টার জানতে পারে উদ্ধারকৃত টাকা বিভিন্ন চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের সুপারিশে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম। মামলায় ৬ জনকে আসামি করা হয়।
দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মো. আকতারুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় একাধিক ভুক্তভোগী, মামলার সাক্ষী ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা সবাই জামিনে আছেন। দোষ না থাকায় একজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছে দুদক।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।