Apan Desh | আপন দেশ

শেখ হাসিনার ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১৯:১৬, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শেখ হাসিনার ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক

ফাইল ছবি

পলাতক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া রাষ্ট্রের শত শত কোটি কোটি টাকা অপচয় করে বিদেশ ভ্রমণের বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখবে দুদক।

বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

ব্রিফিংয়ে আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে গেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ভাড়া করতেন সরকারি টাকায়। নিয়ে যেতেন সফরসঙ্গীদের বিশাল বহর। টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে প্রায় প্রতি বছর জাতিসংঘের অধিবেশনে সরকারপ্রধান হিসেবে যোগ দিয়েছেন তিনি। প্রতিবারই নিউইয়র্কে নিয়ে যেতেন বিশাল বহর। শেখ হাসিনা ২০১৫ সালে ২২৭ জনের একটি দল নিয়ে নিউইয়র্কের ৭০তম সাধারণ অধিবেশন এবং টেকসই উন্নয়ন-বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে যান। ২০১৪ সালে ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনে এ সংখ্যা ছিল ১৭৮ এবং ২০১৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৩৪।

আরও পড়ুন<<>> শেখ হাসিনাকে ফেরাতে রেড এলার্ট জারি

আক্তার হোসেন বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে বিমানের বোয়িং ৭৭৭ ও ৭৮৭ সিরিজের অত্যাধুনিক উড়োজাহাজে যেতেন। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮টি ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। এসব সফরে শেখ হাসিনা ব্যয় করেছেন প্রায় ২০০ কোটি টাকা। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে স্থানীয় সময় বিকালে হেলসিংকির ভানতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি-১৯০২ যোগে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। 
বিমানের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্রে খবর নিয়ে জানা গেছে, সরাসরি ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক যাত্রা না করে ফিনল্যান্ডে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এ ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট অবতরণ। সেখানে দুই দিনের ল্যান্ডিং চার্জসহ সফরসঙ্গীদের যাবতীয় খরচ বহন করতে অতিরিক্ত সাত কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়েছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিমানের প্রায় ৫০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে সরকারের কাছে।

দুদকের এ কর্মকর্তা আরও জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি সংগ্রহ করেছেন। দেশের সরকারি টাকা লবিস্টের পেছনে ব্যয় করে মানদণ্ড ভঙ্গ করে সংগ্রহ করা উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি হলো- ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় অব ব্রাসেলস, ভারতের বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। 
জানা যায়, তিনি যেসব পদক ও ডিগ্রি সংগ্রহ করেছেন, তার প্রায় সবগুলোর পেছনে প্রচুর খরচ বা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি চুক্তির বিনিময়ে বাগিয়ে নিয়েছেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে পাওয়া এসব তথ্য পর্যালোচনা করে প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়