Apan Desh | আপন দেশ

সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে দুদকে নয়া অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৫৩, ৩ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ১৪:৪২, ৩ আগস্ট ২০২৩

সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে দুদকে নয়া অভিযোগ

আব্দুস সালাম মুর্শেদী

মাঠ দখল থেকে অবসর নিয়ে এখন সরকারি জমি দখলে নেমেছেন সাবেক ফুটবলার আব্দুস সালাম মুর্শেদী। শুধু তাই নয়, ক্ষমতার প্রভাবে অনিয়ম-দুর্নীতিতে অপ্রতিরুদ্ধ হয়ে উঠেছেন এই আইনপ্রণেতা। 

দফায় দফায় নাম কাটাকাটির পর দুদকের খাতায় নতুন করে তালিকাভুক্ত হচ্ছে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর নাম। তার বিরুদ্ধে জমা পড়েছে বিস্তর অভিযোগ। ভুয়া কাগজে সরকারি জমি জবর-দখল, কারফাঁকিসহ অর্থ পাচারের মতো গুরুতর অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখতে আবেদন করেছেন রাজধানীর কলাবাগানে পান্থপথের জনৈক ব্যক্তি।   

অর্ধডজন অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গুলশানের ১০৪ নম্বর রোডে ২৭/বি বাড়িটি সরকারি পরিত্যাক্ত সম্পত্তি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে নিজের নামে ভূয়া কাগজ বানিয়ে ভোগদখল করছেন এমপি সালাম মুর্শেদী। 

গুলশান-১, রোড-৮ এর ৬ নম্বর বাড়িটি কেনার সময় জমির প্রকৃতমুল্য না দেখিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। ওই বাড়ি কেনার সমুদয় টাকা প্রকৃত হিসাব অস্বচ্ছ। 

আব্দুস সালাম মুর্শেদী মোট ২৩টি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানা আছে শুধু কাগুজে, কোনো কার্র্ক্রম নেই। যার মাধ্যমে কালোটাকা সাদা করছেন। তার ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাবে নয়ছয় করে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ, ইন্জিনিয়ার কুতুব উদ্দিনের কাছ থেকে এনভয় গ্রুপের মালিকানা সেটেলম্যান্ট করার সময় বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন। যে অর্থ তার আয়কর রিটার্নে সঠিকভাবে দেখানো হয়নি। মুলত: কালোটাকা ব্যবহার করেছেন বিএনপিত্যাগী এই খেলোয়াড়। 

তিনি কিছুদিন পরপর নামে-বেনামে কোম্পানি তৈরী করে বিনিয়োগ দেখিয়ে আবার ওই প্রতিষ্ঠানকে লোকসানী দেখিয়ে বিদেশে অর্থ পাচারের মতো দণ্ডনীয় অপরাধের মতো কাজ অব্যাহত রেখেছেন। 

একজন সংসদ সদস্য হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত হলফনামায় তার যে সম্পদের হিসাব বিবরনী দাখিল করা হয়েছে বাস্তবতার বিস্তর ফাঁরাক রয়েছে। সম্পদ গোপন করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করে রাষ্ট্রকে ফাঁকি দিয়েছেন। যা খতিয়ে দেখলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।   

বাফুফের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ফ্যাইন্যান্স কমিটির প্রধান থাকাকালে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটেছেন। 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ কালোটাকা রয়েছে দল বদলানো এই রাজনীতিবিদ সালাম মুর্শেদীর। 
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে মতামত জানতে আব্দুস সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে বারংবার কিন্তু এ ব্যাপারে সাড়া পাওয়া যায়নি।  

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়