Apan Desh | আপন দেশ

বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক-ব্যাংকিং দর্শন নিয়ে ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ২৭ আগস্ট ২০২৩

আপডেট: ১৮:৪১, ২৭ আগস্ট ২০২৩

বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক-ব্যাংকিং দর্শন নিয়ে ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সভা

ছবি: আপন দেশ

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং দর্শন’ নিয়ে আলোচনা সভা করেছে ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার ক্লাব বাংলাদেশ। সভায় বক্তরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরে তার স্বপ্ন পূরণ করে যেতে পারেননি। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তির কাজগুলো করে যাচ্ছেন। ইংল্যান্ডের রানী যেমন আমৃত্যু ক্ষমতায় ছিলেন, তেমনি শেখ হাসিনাও আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন।

শনিবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ড. তাপস চন্দ্র পাল। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান।

এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব শহীদের প্রতি এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ  হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার ক্লাব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক লায়ন হামিদুল আলম সখা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. আবুল কালাম আজাদ, মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী।

অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাঈন উদ্দিন আহমদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. নেছার আহমেদ ভূঁইয়া, জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল হামিদ সোহাগ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটির আহ্বায়ক ও ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার ক্লাব বাংলাদেশ এর যুগ্ম সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম খন্দকার ও সদস্য মো. মুকিতুল কবীর। 

ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য অনেক পরিকল্পনা করেছিলেন। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি মাত্র সাড়ে তিন বছরে কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন।

মূখ্য আলোচক ড. রতন সিদ্দিকী বলেন, প্রতিটি দেশের একজন নেতা থাকে যে একটি জাতিকে নিয়ন্ত্রণ করেন। বঙ্গবন্ধু সাড়ে সাত কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তিনি যে জায়গায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই এলাকার মানুষ জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতেন। সেই কষ্ট বঙ্গবন্ধু নিজে দেখেছেন। তাই বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি এই বাংলাদেশের স্থপতি  হয়েছেন, বঙ্গবন্ধু হয়েছেন, জাতির পিতা হয়েছেন। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তির কাজগুলো করে যাচ্ছেন। যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন করছেন, গ্রামকে শহর করছেন, গৃহহীনকে গৃহ দিচ্ছেন।

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ইংল্যান্ডের রানী যেমন আমৃত্যু ক্ষমতায় ছিলেন তেমনি শেখ হাসিনাও আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন।

সভাপতির বক্তব্যে ড. তাপস চন্দ্র পাল বলেন, ব্যাংকিং খাতে দক্ষ কর্মীরা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সুরক্ষা করবে। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে কোন টাকা ছিল না। পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী সব লুটে নিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু সমবায়ের ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতিকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা পিতার আরাধ্য কাজ বাস্তবায়ন করে চলেছেন।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়