-ফাইল ছবি
ঢাকা: ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হলেও ২০৩৪ সাল পর্যন্ত কানাডায় শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা পাবে। কানাডার এমন সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।
উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফ (জিপিটি) স্কিমের আওতায় শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। এই স্কিমের আওতায় তৈরি পোশাক উৎপাদনের নিয়ম শিথিল করাসহ অন্যান্য পণ্যও দেশটিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে। নতুন এই স্কিমে শিল্পের শ্রম ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্সের ওপর ভিত্তি করে এই বাজার প্রবেশাধিকার সুবিধাগুলোকে সম্প্রসারণেরও প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান রোববার (২৭ আগস্ট) গণমাধ্যমকে জানান, কানাডার পার্লামেন্ট গত ৮ জুন একটি ফাইন্যান্স বিল পাস করেছে; সেখানে জিপিটি স্কিমের মেয়াদ ২০৩৪ সালের শেষ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ ২০০৩ সাল থেকে লিস্ট-ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রি ট্যারিফ (এলডিসিটি) স্কিমের আওতায় কানাডায় সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ভোগ করছে। এলডিসিটি স্কিম জিপিটির আওতায় পড়ে। জিপিটি স্কিম প্রতি ১০ বছর পরপর নবায়ন করা হচ্ছে। স্কিমটির বর্তমান সংস্করণের মেয়াদ ২০২৪ সালে শেষ হবে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশি পণ্য রফতানির ১১তম শীর্ষ গন্তব্য ছিল কানাডা। বাংলাদেশি পণ্যের অন্যতম বড় এই বাজারে গত অর্থবছরে রফতানি হয়েছে ১৭২ কোটি ডলারের পণ্য, যা মোট পণ্য রফতানির ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। তার আগের অর্থ বছরে দেশটিতে রফতানি হয়েছিল ১৫২ কোটি ডলারের পণ্য।
কানাডা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকেরও অন্যতম বড় বাজার। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে কানাডায় বাংলাদেশি তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে ১৫৪ কোটি ডলারের। যা আগের বছরের তুলনায় সাড়ে ১৬ শতাংশ বেশি। বাজারটিতে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৩৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছিল।
আপন দেশ/এমএমজেডব
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
