একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকা: শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের মেয়াদের শেষ একনেক সভায় ৪৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যা বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ব্যয় করবে ৩০ হাজার ১২৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৭৬৮ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আজ একনেক সভায় যেসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ঢাকাস্থ শেরেবাংলা নগর এলাকায় পার্ক নির্মাণ; শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকায় বহুতল সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ; তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১২৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ; চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনরুদ্ধার, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন।
এছাড়াও অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগকারী সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ; ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর-বাঞ্ছারামপুর জেলা মহাসড়কটি যথাযথ প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ; ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, রাজউক পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়ক হতে মাদানী এভিনিউ সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।
একই সঙ্গে গাবতলী সিটিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য বহুতল বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ; বর্ধিত ঢাকা পানি সরবরাহ ও রেজিলিয়েন্স প্রকল্প; ঢাকা পানি সরবরাহ উন্নয়ন, ঢাকা স্যানিটেশন উন্নয়ন, বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন।
এছাড়া মুগদা মেডিকেল কলেজের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩-এর গ্যাস বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ উন্নয়ন, যশোর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা, সারাদেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ দ্বিতীয় পর্ব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক মৌলভীবাজার প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লি অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদি।
আপন দেশ/এমএমজেড
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।