ছবি: আপন দেশ
চলতি বছরের ১১ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে পারে। রোজা এলেই দেশে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। এবার দেড় মাস আগে চিনি, ভোজ্যতেল, ছোলা ও খেজুরের দাম বেড়েছে। কয়েক মাস ধরেই এসব পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।
তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাঠানো হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী বলেন, রোজা সামনে রেখে ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের শুল্ক কমাতে এনবিআরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে, শুল্ক হার কতটা কমানো হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এনবিআর।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) এনবিআরের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এখন প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ন্যূনতম ১৫০ টাকায়, যা দুই বছর আগে ৬৫ টাকা থেকে ৭০ টাকায় কিনেছেন ভোক্তারা।
আরও পড়ুন>> জরুরি সঞ্চয়ে কত টাকা থাকা উচিত?
সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটার প্রতি ১৭০ টাকায়; যা দুই বছর আগে ১০০ টাকারও কম দামে কেনা যেত।
ছোলার দামও গতবছরের তুলনায় কেজিতে অন্তত ১০ টাকা বেড়েছে। রোজার মাস না আসতেই এক কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
আর রোজার মাসের খাদ্য তালিকার অন্যতম অনুসঙ্গ খেজুর। শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে আমদানি বন্ধ রয়েছে। অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে তারা বেশ কয়েক মাস ধরে শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “বর্তমানে ভোজ্যতেলে আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ, উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ, এবং বিপণন পর্যায়ে ৫ শতাংশ শুল্ক রয়েছে। আমরা উৎপাদন ও বিপণন পর্যায়ে শুল্ক অব্যাহতি চেয়েছিলাম। অপরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ রয়েছে। এটাতে অব্যাহতি চেয়েছিলাম।”
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।