ফাইল ছবি
মূল্যস্ফীতির লাগাম ধরতে ঘোষণা করা হয় মুদ্রানীতি। আশা করা হয়, মুদ্রানীতি প্রয়োগে নিত্যপণ্যের দাম কমবে। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। নভেম্বর-ডিসেম্বর মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছিল। তবে ভোটের পর জানুয়ারি থেকে ফের বাড়ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মুদ্রানীতি ছিল কৌশলগত। ভোট কেন্দ্রিক। মূল্যস্ফীতিই নিয়ন্ত্রণে সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কঠোর হবার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
গত জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর এটিই সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। শহর ও গ্রাম দু’জায়গাতেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
জানুয়ারি-জুনে ঘোষিত মুদ্রানীতির লক্ষ্যই ছিল মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা। কিন্তু নীতি সুদের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণের সুদ বৃদ্ধির পরও মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। সরকারি পরিসংখ্যানেও উঠে এসেছে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চিত্র।
আরও পড়ুন>> মূল্যস্ফীতির চাপে তহবিল বন্ধ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে ঠেকেছে। আগের মাসে তা ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। অক্টোবরে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এরপরের দুই মাস মূল্যস্ফীতি কমেছিল। জানুয়ারিতে এসে আবার তা বেড়ে গেছে।
বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমেছে। অথচ দেশে চিত্র উল্টো। জানুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এ খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে। সব মিলিয়ে চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ।
বাজার বিশ্লেষক ও কৃষি অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, শুধু মূল্যস্ফীতিই নিয়ন্ত্রণ নয়, জোর দিতে হবে ব্যবস্থাপনাতেও। কঠোর হতে হবে আইনের প্রয়োগে।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়ালো
ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বেড়েছে। পণ্যের দাম বাড়ছে। ফলে মূল্যস্ফীতিতে এ ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়েছে। অর্থনীতির জন্য এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে সেখানে সমন্বিত পদক্ষেপের অভাব আছে।’
কৃষি অর্থনীতিবিদ সাইদুর রহমান বলেন, ‘জানুয়ারিতে যে মূল্যস্ফীতির হিসাব দেয়া হচ্ছে, সেটি মূলত গত বছরের জানুয়ারির সঙ্গে তুলনা করে। গত বছরের জানুয়ারির উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে এ বছরের জানুয়ারিতে এসে মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বেড়েছে।’
আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। অন্যদিকে, গ্রামের গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭০, যা শহর এলাকার ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।