Apan Desh | আপন দেশ

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যে নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:২৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে যে নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

নতুন বছর শুরুর পর থেকেই বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের বারবার হুঁশিয়ার করেছে সরকার। দৃশ্যত কোন লাভ হয়নি। মন্ত্রীদের কড়া বার্তাতেও টনক নড়েনি ব্যবসায়ীদের। বরং উল্টো চিত্র দেখা গেছে। রমজানের আগেই ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, খেজুরের দাম বাড়ছে। তাই এবার দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে চায় সরকার। মূল্য নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগেও বর্তমান সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে এরই মধ্যে দেশের সকল পৌরসভার মেয়র, প্রশাসককে চিঠি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নজর রাখছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। গত ১৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।

পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, সরকারের বর্তমান মেয়াদে প্রথম মন্ত্রিসভা-বৈঠকে সবার প্রতি প্রধানমন্ত্রী কতিপয় নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন নিয়মিত পাঠানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং অংশীজনের সঙ্গে সমন্বয় করে মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২. পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য পণ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

৪. সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রকৃত উপকার ভোগীর কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।

৫. রফতানি বহুমুখীকরণ, নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান ও প্রবেশে সহায়তা করতে হবে।

৬. নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪-এ বর্ণিত প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলো জাতীয় বাজেট প্রণয়নকালে নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ বিবেচনায় রাখবে।

৭. স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট জনগণ নিশ্চিত করতে নিজ নিজ মন্ত্রণালয়/বিভাগে করণীয় চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়ন করবে।

৮. নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রকল্পের উপকারিতা/দেশের জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিদেশি ঋণ/সহায়তা গ্রহণকালীন যথাযথভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। এছাড়া, চলমান প্রকল্পগুলো বিশেষ করে যেগুলোর বাস্তবায়ন সর্বশেষ পর্যায়ে রয়েছে সেগুলোর প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করতে হবে।

৯. সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করতে হবে।

১০. সরকারের শূন্য পদগুলোতে দ্রুত জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১. নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

১২. গার্মেন্টস সেক্টরের মতো চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং কৃষিজাত পণ্য বিষয়ক শিল্প বিকাশে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

১৩. শিক্ষাকে কর্মমুখী করার লক্ষ্যে আইসিটি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

১৪. যুবসমাজকে খেলাধুলা এবং শিল্প সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে বিরত রাখতে হবে।

১৫. অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার বিরুদ্ধে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়