Apan Desh | আপন দেশ

রিজার্ভ বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১:১৯, ৭ মার্চ ২০২৪

রিজার্ভ বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে

ছবি: সংগৃহীত

আমদানি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রফতানি ও রেমিট্যান্স বাড়ছে। এ সময়ে কারেন্সি সোয়াপের আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলার রেখে টাকা নিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। বুধবার (৬ মার্চ) রিজার্ভ বেড়ে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা গত সোমবার ২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার ছিল।

এর আগে, গত সপ্তাহে রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। গত মাসেই তা ১৯ বিলিয়নের ঘরে ছিল। অবশ্য আগামী সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) এক বিলিয়ন ডলারের বেশি পরিশোধের পর রিজার্ভ আবার কমবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর সংকটের কারণে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

এতে করে কমতে–কমতে গত নভেম্বর শেষে ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর আবারও বেড়ে ডিসেম্বরে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন হয়। তবে জানুয়ারি শেষে আবার কমে ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। এখন সোয়াপের ফলে রিজার্ভ ফের বাড়ছে।

ব্যাংকাররা জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা অনিশ্চয়তার কারণে প্রবাসী কিংবা রপ্তানিকারকদের অনেকে ডলার ধরে রাখছিলেন। এসব ডলার দেশে আনতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে এক নির্দেশনার মাধ্যমে রেমিট্যান্সের সুবিধাভোগীর নামেও বৈদেশিক মুদ্রায় অ্যাকাউন্ট খুলে ডলার রাখার সুযোগ দেওয়া হয়। এর বিপরীতে সুদ মিলছে ৭ থেকে ৯ শতাংশের বেশি। 

এছাড়া বিদেশ ভ্রমণ থেকে দেশে ফিরে আরএফসিডি অ্যাকাউন্ট খুললে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত রেখে ৭ শতাংশের বেশি সুদ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে দেশে অর্থ আনতে বিভিন্নভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) ব্যাংকিং চ্যানেলে ৪২৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৬ কোটি ডলার বা ২১ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুর দিকে রেমিট্যান্স কম থাকায় অর্থবছরের ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) প্রবাসী আয় বেড়েছে মাত্র ১০৫ কোটি ডলার বা ৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ সময় প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৫০৬ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ৪০১ কোটি ডলার।

রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পাশাপাশি রফতানি আয়ও বাড়ছে। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ৮ মাসে রফতানি হয়েছে ৩ হাজার ৮৪৫ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। আবার বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে আমদানি কমিয়ে রাখা হয়েছে। 

চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ মাসে এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ১৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ। গত অর্থবছর আমদানি কমেছিল ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। কারেন্সি সোয়াপ নীতিমালার আওতায় মঙ্গলবার পর্যন্ত কয়েকটি ব্যাংক প্রায় ৭৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রেখেছে। এ ছাড়াও কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে না বললেই চলে। সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়