ছবি: সংগৃহীত
নিজস্ব কারখানায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইলেকট্রিক ফ্যান তৈরি করছে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন ফ্যান দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। চলতি মার্চ মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৫০ লাখ টাকার ফ্যান রফতানি করেছে ওয়ালটন। ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য পৌঁছানোর নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে ওয়ালটন।
ওয়ালটন ফ্যানের গ্লোবাল বিজনেস অপারেশন বিভাগের প্রধান আব্দুল লতিফ জানান, ২০২২ সাল থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গলে ফ্যান রফতানি করছে ওয়ালটন। চলতি মাসে মোট ৫০ লাখ টাকার ফ্যান রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্ট্যান্ড ফ্যান, টেবিল ফ্যান ও টর্নেডো ফ্যান। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, মালদহ, শিলিগুড়ি, বারাসাত, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের স্থানীয় ডিলাররা ফ্যান নিয়েছে ওয়ালটন থেকে।
ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) সোহেল রানা বলেন, ভারত সম্ভাবনাময় এক বিশাল বাজার। দেশটিতে প্রতিবছরই ওয়ালটন ফ্যানের চাহিদা ও রফতানি বাড়ছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ- ওয়ালটন ফ্যানের উচ্চ গুণগতমান, লেটেস্ট প্রযুক্তির ব্যবহার, ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়, টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ীত্ব। তার মতে, অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্যে নেয়া ওয়ালটনের ‘ভিশন গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনে মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে এ রফতানি প্রক্রিয়া।
তিনি জানান, ভারত ছাড়াও নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ঘানা, ইয়েমেন ও পূর্ব তীমুরে ফ্যান রফতানি করছে ওয়ালটন। বহির্বিশ্বে যেখানে ওয়ালটন পণ্য যাচ্ছে সেখানেই বাংলাদেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে।
ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের ব্র্যান্ড ম্যানেজার জাকিবুর রহমান সেজান জানান, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বব্যাপী শতাধিক বিজনেস পার্টনারের মাধ্যমে নিজস্ব কারখানায় তৈরি পণ্য রফতানি করছে ওয়ালটন। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ফ্যান ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্টে মাসিক ৪ লাখ ইউনিট ফ্যান উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। বর্তমানে মোট ১২ ক্যাটাগরির শতাধিক মডেলের ফ্যান উৎপাদন করছে ওয়ালটন। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ থেকেও ফ্যান রফতানির কার্যাদেশ পাওয়া গেছে।
আপন দেশ/টি/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।