ছবি: সংগৃহীত
ভারত প্রতি মৌসুমে প্রায় ২ দশমিক ৬২ লাখ মেট্রিক টন আঙুর রফতানি করে। রফতানির শতকরা ২৮ ভাগ আসে বাংলাদেশে। দেশটির আঙ্গুর চাষি সমিতি দাবি- শুল্ক বাড়ানোর পর নাসিক থেকে বাংলাদেশে রফতানি প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে।
ভারত থেকে আঙ্গুর আমদানির উপর ধার্যকৃত শুল্ক কেজি প্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০৪ টাকা করেছে বাংলাদেশ। এ শুল্কহার কমানোর ব্যাপারে ভারত সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেনি বলে অভিযোগ আঙ্গুর চাষিদের। এনিয়ে ভারতীয় চাষিরা কেন্দ্রের ওপর অসন্তোষও প্রকাশ করেছে।
তারা বলছেন, এতে রফতানির বাজার যেমন সংকুচিত হয়েছে অন্যদিকে দেশীয়বাজারে যোগান বেড়ে গিয়ে কমেছে দাম। ফলে বিপাকে পড়েছে ভারতের হাজার হাজার আঙ্গুর চাষি। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারকে বর্ধিত শুল্ক হার প্রত্যাহারের আকুল আবেদন জানিয়েছে ভারতের চাষিরা।
ভারতের আঙ্গুর চাষিদের সংগঠন মহারাষ্ট্র রাজ্য দ্রক্ষা বাগায়াতদার সংঘ (এমআরডিবিএস) সূত্রে জানা গেছে, আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কারণে আঙ্গুর চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কারণ তারা এখন প্রতি কেজি আঙ্গুর বিক্রি করে ২০-২৫ রুপি কম পাচ্ছে। ভারত প্রতি মৌসুমে প্রায় ২.৬২ লাখ মেট্রিক টন আঙ্গুর রফতানি করে, যার মধ্যে শতকরা ২৮ ভাগ আঙ্গুর হয় বাংলাদেশে। দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলাই সবচেয়ে বেশি ৮০ শতাংশ আঙ্গুর রফতানি করে থাকে।
আরও পড়ুন<<>> ভারতে ৫০ লাখ টাকার ফ্যান রফতানি ওয়ালটনের
আঙ্গুর চাষি সমিতি দাবি করেছে যে, আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পর নাসিক থেকে বাংলাদেশে রফতানি প্রায় ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। সাধারণত প্রতি মৌসুমে বাংলাদেশ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আঙুর এ নাসিক থেকে আমদানি করে।
ভারতের আঙুর চাষিরা বলেন, বাংলাদেশ ভারতীয় আঙুরের অন্যতম আমদানিকারক। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের তরফে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ফলে দেশ থেকে আঙুর রপ্তানিতে প্রভাব ফেলেছে। তাছাড়া, এই কারণে স্থানীয় বাজারে আঙুরের দামও কমে গেছে। ডিসেম্বরে আঙুর মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা দাবি করে আসছি যে আঙুরের উপর থেকে আমদানি শুল্ক কমিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা শুরু করা হোক। কিন্তু তা হয়নি।
ভারতের চাষিদের অভিযোগ দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বিদেশ মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার আবেদন জানানো সত্ত্বেও এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কথা বলে সেই শুল্কহার কমানোর ব্যাপারে ভারত সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এনিয়ে কেন্দ্রের উপর অসন্তোষও প্রকাশ করেছে আঙ্গুর চাষিরা।
ওই অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবং দিন্ডোরির বিজেপি সাংসদ ভারতী পাওয়ার জানান, কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বাংলাদেশ সরকারকে এ ব্যাপারে চিঠি লিখেছিলেন, সেখানে আঙুরের আমদানি শুল্ক কমানোর জন্য তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে হবে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।