ফাইল ছবি
এবার ঈদের আগমুহূর্তে মসলার ঝাঁজ বেড়েছে। প্রায় দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে রসনার নানান মসলা। বাজার ফর্দ কাটছাট করেও দিশা পাচ্ছে না নিম্ন ও মধ্যবিক্ত আয়েরর মানুষ। দিনে দিনে নং; রকমফেরে ক্ষণে বাড়ানো হচ্ছে মসলার দাম। একই পন্য বাজারের এ প্রান্তের দামের সঙ্গে অপরপ্রান্তের দামের ফাকার বিস্তর। লাগামহীন বাজারে অসহায় হয়ে পড়ছেন ক্রেতা। দাম বৃদ্ধির অজুহাতের শেষ নেই বিক্রেতাদের। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার নজিরও আছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের চিত্র এমনই মিলেছে।
দর বৃদ্ধি শীর্ষে এবার এলাচ। কেজিতে বেড়েছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৯৫০ টাকা পর্যন্ত। পাল্লা দিয়ে বাড়ানো হয়েছে দারুচিনি, গোলমরিচ, সাদামরিচ, লবঙ্গসহ সব ধরনের মসলার দাম। এসব পণ্যের দাম কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
বাজারের চার্ট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত রমজানে যে এলাচ ১৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকা কেজি ছিল, এবার তা আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার ৩৫০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দারুচিনির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়ে ৫২০ থেকে ৫৮০ টাকায়। ৪০০ টাকার কিশমিশ এখন ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা। ১ হাজার ৫০০ টাকার লবঙ্গ ১ হাজার ৬৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। মাসখানেক আগেও ৫০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত কম থাকা কালো গোলমরিচ ৮২০ টাকা, সাদামরিচ ১ হাজার ২২০ টাকা, আলুবোখারা ৫৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা বেড়ে কাঠবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকায়, কাজুবাদাম ১ হাজার ১৮০ এবং পেস্তাবাদাম ৩০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছু দোকানে এর বেশি দামেও বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারী ব্যবসায়ীদের যুক্তি আগেরটাই। তারা বলছেন, কেনা বেশি দামে তাই বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে। দুই-আড়াই মাস আগে যে এলাচের কেজি দেড় হাজার টাকা ছিল, সেটা এখন ২৬০০; আর যেটা ১৪০০ ছিল, তার কেজি এখন ২৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা। আরেকটা এলাচ ছিল আড়াই হাজার টাকা কেজি, সেটা এখন হয়েছে ৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ দুই মাসের ব্যবধানে এক-দেড় হাজার টাকা দাম বেড়েছে। কালো মরিচ, কাঠবাদাম, সাদা মরিচ এগুলো কেজিপ্রতি এক-দেড়শ’ টাকা বেড়েছে। পেস্তাবাদামে বেড়েছে ৬০ টাকা। এক দিনে দুইশ টাকার বেশি বেড়েছে কাজুবাদামের দাম। শুধু মসলার মধ্যে জিরাসহ দু-একটার দাম কমেছে। ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকার জিরা এখন ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ি ইসমাইল হোসেন বলেন, দেশীয় পণ্যমূল্যই তো চড়া। আর ডলারে কেনা, শুল্ক, হিডেন চার্জ (চাঁদা) সহ বিদেশী পণ্যের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে গেছে। তাতে আমাদের করার কিছু নেই। খরচের পর কিছু লাভ ধরে যা দাম আগে তা-ই বিক্রি করছি। তবে সাধারণ ক্রেতা হিসাবে আমিও মনে করি মানুষের আয়ের সঙ্গে ব্যয় মিলছে না।
রাজধানীর খিলগাঁও পুনর্বাসন বাজারে নিত্যপণ্য কেনা-বেচা নিয়ে বাকবিতন্ডা গড়ায় হাতাহাতিতে। ক্রের দাবি বাজারের প্রবেশদ্বারে এক কেজি কিশমিশ বিক্রেতা চেয়েছেন ৬৫০ টাকা, মাঝ বাজারের দোকানী সেই কিশমিশ চেয়েছেন ৭২০ টাকা। কারণ জানতে চাইলে দোকানীর সাফ জবাব নিলে নেন নইলে যান। এতো কথা বলার সময় নেই। এসব পণ্যের কোনো তালিকাও নেই বাজারে। এ নিয়ে বিতন্ডা।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।