ছবি : সংগৃহীত
মানুষ ছুটছে নাড়ির টানে। একদিন পরই ঈদ। কেউ শহর থেকে যাচ্ছে গ্রামে। আবার গ্রাম থেকেও আসছেন শহুরে বাসিন্দারা। ঈদে প্রিয়জনদের ঈদ সালামি বা উপহার দিতে নতুন টাকার ব্যবহার পুরনো ঐতিহ্য। ঘরে ফেরার আগে সংগ্রহ করছেন নতুন টাকা। ফলে শেষ সময়ে কদর বেড়েছে নতুন টাকার। বিক্রেতাও টাকায় কেনা টাকার দাম চাচ্ছেন একটু বেশি।
রাজধানীর গুলিস্তানে টাকার বাজার বেশ পুরনো। প্রায় কাছাকাছি সময়ে নতুন টাকার পসরা বসেছে মতিঝিলেও। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশেই সেনা কল্যাণভবন ঘেঁষে গড়ে উঠেছে নতুন টাকার বাজার। নারী-পুরুষ তাতে বিক্রেতা। ডজনখানেক ব্যক্তির জীবন-জীবিকা নির্বাহ হয়ে থাকে টাকার ব্যবসা থেকেই।
ঈদের ছুটি আজ থেকে শুরু। শেষ কর্মদিবসটি সেরে বাসায় ফিরছেন কর্মজীবীরা। মতিঝিল কেন্দ্রিক শত শত মানুষ কিনছে নতুন টাকা। ‘বটতলা টাকার হাট’ খ্যাত পসরা এখন জমজমাট হয়।
রমজানজুড়েই নতুন টাকা বাজারে ছেড়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সে টাকা সংগ্রহ করতে বেশ বিধি-বিধান। তাই টাকার বাজার থেকেই কিনে থাকেন অনেকেই। এক হাজার নোটের চেয়ে ৫০, ১০০ টাকার নোটের চাহিদা বেশি। নতুন টাকার সঙ্গে আরও ৫০ থেকে ১০০ টাকা গুনতে হতো ক্রেতাকে। কিন্তু আজ মঙ্গলবার ক্রেতার চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রেতার চাহিদাও বেশি। হাজার প্রতি ৩০০ টাকা বেশি নিচ্ছে।
৫০ টাকার নোট এক বান্ডেল নিতে হলে বাড়তি দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা। এক্ষেত্রে ১০০ টাকার বান্ডেলের চাহিদা কম থাকায় সেটা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১৫০ কিংবা ২০০ টাকায়। চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকায় ১০ টাকার নোটের দামও বেশি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাফিলের অভিযোগ, এ বছর প্রতি বান্ডেলের দাম ২০ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি নেয়া হচ্ছে। ভাগনে, ভাতিজি ও ছোট ভাইদের ঈদ সালামি দেব। সে কারণে পাঁচ হাজার টাকা কিনতে এসেছিলাম, কিন্তু গতবারের চেয়ে এবার দাম চড়া। কোনো দামাদামিরও সুযোগ নেই।
আপন দেশ/এবি/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।