ছবি: সংগৃহীত
খেলাপি ঋণ আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)। এবার সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে ব্যাংকটি। সব প্রক্রিয়া শেষ হতে ৬ মাস সময় লাগতে পারে। একীভূত হলে গ্রাহকদের আমানতের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানানো হয়। চাকরি হারাবেন না বিডিবিএলের কোন কর্মী।
রোববার (১২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকে এ বিষয়ে ব্যাংক দুইটির মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম জানান, একীভূত হওয়ায় বিডিবিএল ব্যাংকের গ্রাহকদের আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। আমানতের কোনো ক্ষতি হবে না।
বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিস বলেন, ‘বিডিবিএলের চারটি সূচকের মধ্যে শুধু একটি দুর্বল অবস্থায় আছে। সেটি হলো খেলাপি ঋণ, যা আগে ছিল ৪১ শতাংশ। এক বছরে তা কমিয়ে আমি ৩৪ শতাংশে নিয়ে এসেছি।’
তিনি বলেছেন, সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত না হলে, ভবিষ্যতে বিডিবিএল ব্যাংককে অন্য কোন ব্যাংকের সঙ্গে জোর করে একীভূত করা হতো। সেক্ষেত্রে সোনালী ব্যাংক ভালো বিকল্প। একীভূত হবার পর কর্তকর্তা-কর্মচারীরা চাকরিচ্যুত হবেন না।
এর আগে, গত এপ্রিলে কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়। একই মাসে নানা সংকটে জর্জরিত ন্যাশনাল ব্যাংককে ইউসিবির সঙ্গে যুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। আর ঋণ জালিয়াতিতে বিপর্যস্ত বেসিকের দায়িত্ব দেয়া হয় সিটি ব্যাংককে। যদিও, এরই মধ্যে একীভূতকরণ কার্যক্রমে আপত্তি জানিয়েছে ন্যাশনাল ও বেসিক-দুই ব্যাংকই।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।