Apan Desh | আপন দেশ

কালো টাকার মালিকদের জন্য আসছে সাধারণ ক্ষমা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৪০, ২২ মে ২০২৪

কালো টাকার মালিকদের জন্য আসছে সাধারণ ক্ষমা

ছবি : আপন দেশ

দেশের অর্থনীতিতে বিরাজ করছে নজিরবিহীন সংকট। খরচ মেটাতে সরকারের যেমন দরকার বাড়তি টাকা, অর্থনীতিতেও অর্থের প্রবাহ বাড়ানো দরকার। তাই ফের সম্পদ বৈধ করার সুযোগ অবারিত করতে চায় এনবিআর।

আবারও কালো টাকার মালিকদের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কালো টাকার মালিকরা কোনো প্রশ্ন বা আইনের মুখে পড়বেন না-এমন সুযোগও থাকছে। তবে আসন্ন বাজেটে কর পাঁচ শতাংশ বাড়ছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী অর্থবছরে ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অবৈধ অর্থ-সম্পদ বৈধ করা যাবে। কোনো সংস্থা এ ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে পারবে না।

করোনায় অনেকটা স্থবির অর্থনীতির গতি সচল করতে ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার নানা উদ্যোগ নেয়। পাশাপাশি ১০ শতাংশ কর দিয়ে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার সুযোগ দেয় এনবিআর। 

বিধান করা হয়, সুযোগ গ্রহণকারীরা কোথাও প্রশ্নের মুখে পড়বেন না। এনবিআরের হিসাবে, তখন লুকানো ফ্ল্যাট, টাকা ও বিনিয়োগ কর নথিতে দেখান ১১ হাজার ৮৫৯ জন। বৈধ হয় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার কর আসে।

কর্মকর্তারা জানান, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে গোপন ফ্ল্যাট, নগদ টাকা, সঞ্চয়পত্র আয়কর রিটার্নে দেখানোর সুযোগ দেয়া হতে পারে। সুযোগ গ্রহণকারীরা আইনি জটিলতায় পড়বেন না, এমন নিশ্চয়তাও থাকতে পারে।

ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রহমান বলেন, আমার যদি মনোবল দুর্বল হয়ে থাকে, আমি তখন সাদা টাকা থেকে কালো টাকা আয় করার চেষ্টা করব। সাদা টাকা আয় করলে আমার খরচ দিতে হবে ৩০ শতাংশ। আর যদি কালো টাকা আয় করি, তাহলে আমার খরচ দিতে হবে ১৫ শতাংশ। এটা আসলে বিশ্বের কোথাও নেই। এ আইন একমাত্র বাংলাদেশেই চলে। এটা কোনো অর্থনীতির জন্যই ভালো নয়।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অল্প কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাজস্ব ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কালো টাকার মালিকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ তাদের।

গবেষণা সংস্থা সিপিডির জ্যেষ্ঠ তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘বছরের পর বছর এই সুবিধা আপনার আছে। অন্যদিকে এটার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়ার মতো বড় কোনো ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম নেই। ফলে সার্বিক ভাবেই এটার কার্যকারিতা আর পরে থাকে না। আমি মনে করি প্রাথমিকভাবে এখন সরকারের পক্ষ থেকে যেটা করা দরকার সেটা হলো কালো টাকা কমানোর প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেয়া।

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিদেশে পাচার করা অর্থ মাত্র ৭ শতাংশ কর দিয়ে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু একজনও সে সুযোগ গ্রহণ করেননি।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়