ছবি: সংগৃহীত
হাতে গোনা কদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। আর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরই জমে উঠে মসলার বাজার। এবারও ব্যতিক্রম নয়। তবে মসলার দাম কমলেও অসন্তোষ ক্রেতারা। তারা বলছেন, এখনো নাগালের বাইরে মসলার দাম।
অন্যদিকে প্রতিটি মসলায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই বেচাকেনা বাড়ছে। আগামী দুই তিনদিনে এ বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে তারা আশাপ্রকাশ করছেন।
সোমবার (১০ জুন) পুরান ঢাকার চকবাজারের মৌলভিবাজারের মসলার পট্টিসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, ২৬০ টাকা কেজির ধনিয়া কেজি প্রতি দাম কমে ১৮০ টাকা, ১৪০ টাকা কেজির সরিষা দাম কমে ১০০ টাকায়, ৮০০ টাকা কেজি দরের কিশমিশ কেজি প্রতি প্রায় ২০০ টাকা কমে ৫০০ থেকে ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজির গোল্ডেন এলাচ কেজি প্রতি ২৮০০ টাকা, ২৬০০ টাকা কেজি দরের বড় এলাচ কেজি প্রতি ২০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৮০০ টাকা, গোলমরিচ ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম কমে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ভারতীয় জিরা প্রতি কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও কেজি প্রতি ১০০ টাকা কমে এখন ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে শাহী জিরা। আর ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া মিষ্টি জিরার দাম কমে এখন প্রতি কেজি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে পাঁচফোড়ন ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও ঈদকে সামনে রেখে কেজি প্রতি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ৪০০ টাকার কেজির রাঁধুনি কেজি প্রতি ২০০ টাকা বেড়ে এখন ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মেথি ১৬০ টাকা কেজি, চিনাবাদাম ১৬০ টাকা কেজি, কাজু বাদাম ১৩০০ টাকা কেজি, পেস্তা বাদাম ৩ হাজার ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন দাম কমে ২ হাজার ৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ত্রিফলা ১৬০ টাকা কেজি, জয়ফল ১৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও দাম কমে এখন ১ হাজার টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। তেজপাতা ১২০ টাকা কেজি, সাদা গোলমরিচ ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও দাম কমে এখন ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন>> বিআরটিসি বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু
বাজারে ২ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া লবঙ্গ কেজি প্রতি ৫০০ টাকা কমে এখন ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪ হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া জয়ত্রি কেজি প্রতি ৮০০ টাকা কমে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১ হাজার ৮০০ টাকার পোস্তদানা কেজি প্রতি ২০০ টাকা বেড়ে ২ হাজার টাকা, ৬০০ টাকা কেজির আলুবোখারা দাম কমে ৪৭০ টাকা, ৬০০ টাকা কেজির দারুচিনির দাম কমে ৫০০ টাকা, ২৮০ টাকা কেজির খোলা হলুদের গুড়া ৩৬০ টাকা, ৪০০ টাকা কেজি খোলা মরিচের গুড়া ৫০০ টাকা এবং ৩ হাজার ৬০০ টাকার কেজির কালো এলাচ দাম কমে ২৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মৌলভীবাজারের ঢাকা স্টোরের একজন মসলা বিক্রেতা জানান, ঈদুল আজহায় সবাই যেহেতু কোরবানি করে, সেহেতু মসলার চাহিদা বেশি থাকে। তবে চাহিদা থাকলেও মসলার দাম বাড়েনি। দারুচিনি, এলাচ, লবঙ্গসহ সব মসলার দামই এখন কমেছে। এরই মধ্যে ক্রেতারা মসলা কেনা শুরু করেছেন। তবে ঈদের দুইদিন থেকে তিনদিন আগে প্রচুর মসলা বিক্রি হবে।
আলী আজম নামের একজন মসলা বিক্রেতা বলেন, মসলার দাম কমলেও ক্রেতাদের সন্তুষ্টি দেখি না। সব মসলায় নাকি দাম। আমাদের হাতে তো দাম কমানোর উপায় নেই।
মসলা কিনতে আসা ফজলে বারী জানান, ঈদে গরু কোরবানি দেব। তাই মসলার প্রয়োজন। কিন্তু মসলার বাজারে দেখি সবকিছুরই দাম। আগে যে হারে দাম বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে তার অর্ধেকও দাম কমেনি।
কচুক্ষেত থেকে মসলা কিনতে এসেছেন রাকিব হাসান। তিনি বলেন, প্রতিবছরই মসলা কিনতে হয়। কিন্তু এবার নাকি মসলার দাম কম। বাজারে এসে দেখি কিছুই কম নাই। দাম আগের মতোই চড়া। এসবের মূলেই রয়েছে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।