ফাইল ছবি
ক্রমবর্ধমান বা ঊর্ধ্বগতি খেলাপি ঋণের অঙ্কে লাগাম টানতে পারাটাই ব্যাংক খাতে বর্তমানে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য বেড়ে যাওয়া খেলাপি ঋণ কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে চলমান মুদ্রানীতিতে ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে একটি কর্মকৌশল বা রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, যা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, নতুন ঋণ যাতে খেলাপি না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রেখে কঠোর তদারকি করা, বর্তমান খেলাপি ঋণ থেকে একপক্ষে ১ শতাংশ নগদ আদায় নিশ্চিত করতে হবে। মন্দা হিসাবে শ্রেণিকৃত খেলাপি ঋণ ২ বছরের মধ্যেই অবলোপন করা যাবে।
বুধবার (১২ জুন) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের অনুপাত ২০২১ সালের পর থেকে ঊর্ধ্বমুখী ছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে তা ৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের জুনের পর এ হার সামান্য কমেছে। খেলাপি ঋণ বেড়ে রেকর্ড হয়েছে গত মার্চে। ওই মাসে খেলাপি ঋণ ডিসেম্বরের তুলনায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বেড়ে ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন>> ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতেও বাড়ছে না রেমিট্যান্স
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান মুদ্রানীতিতে ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে, যা দ্রুত বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রণীত কর্মকৌশলের অধীনে ঋণ অবলোপনের সময় তিন বছর থেকে কমিয়ে দুবছর করা হয়েছে। ফলে অবলোপনের মাধ্যমে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমে আসবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সম্প্রতি বাজারভিত্তিক সুদের হার প্রবর্তন করায় এর হার বেড়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো ঋণ প্রদানের সম্ভাব্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে বা যাচাই-বাছাই করে ঋণ দিতে পারবে, যা ভবিষ্যতে নতুন ঋণখেলাপি হওয়ার প্রবণতা কমে আসবে। এতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিতে বাজারভিত্তিক সুদের হার চালু করায় প্রাথমিকভাবে ঋণের বিপরীতে সুদের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সামগ্রিক ব্যয় কমানোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির চাপকে কিছুটা হলেও প্রশমিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।