Apan Desh | আপন দেশ

ঈদের আগে বাড়ল পেঁয়াজ-রসুনের ঝাঁজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:৩২, ১৩ জুন ২০২৪

আপডেট: ০০:১৩, ১৬ জুন ২০২৪

ঈদের আগে বাড়ল পেঁয়াজ-রসুনের ঝাঁজ

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আজহার আগে মসলা জাতীয় পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগে পণ্যগুলোর দাম বাড়িয়ে দেয় অসাধু বিক্রেতারা। এবারও ঈদের আগে বাড়ল পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে। রসুনের দাম বেড়েছে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর বেশ কিছু বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কোরবানির আগের হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

এক সপ্তাহ আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। কিন্তু আজকের (বৃহস্পতিবার) বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। অন্যদিকে দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগেও যা ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। গত বছরের এ সময়েও বিক্রি হয়েছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আগের মতো পেঁয়াজ আসে না। তারমধ্যে কোরবারি ঈদে চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও জোগান তেমন একটা বাড়েনি। ফলে দাম বেড়েছে। মাসখানেক আগেই রসুনের উৎপাদন মৌসুম শেষ হয়েছে। ঈদ মৌসুমে চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেশি। ঈদের আগ মুহূর্তে দাম আরও বাড়তে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

আরও পড়ুন>> মসলার দাম কমলেও অসন্তোষ ক্রেতারা

ক্রেতাদের অভিযোগ, কোরবানি ঈদে গরু বা খাসির মাংস রান্নায় পেঁয়াজ, রসুনের ব্যবহার বেড়ে যায়। চাহিদার এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পেঁয়াজ, রসুনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

তারা আরও জানান, শুধু পেঁয়াজ নয়, ঈদকে কেন্দ্র করে সব ধরনের মসলার দাম বাড়ানো হয়। ঈদ কাছাকাছি আসতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে এসব পণ্যের দাম। শুক্র ও শনিবার এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে আল্লাহ ভালো জানেন।

বাড্ডা পাঁচতলা বাজারের রসুন কিনতে আসা এক রিকশাচালক বলেন, সামনে ঈদ তাই সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। পেঁয়াজ, রসুন, আলুসহ এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। এক কেজি চাল কিনতে চলে যায় ৭৫ টাকা। সাড়ে ৩০০-৪০০ টাকার নিচে কোনো মাছ নেই। আগে মাঝেমধ্যে ব্রয়লার মুরগি খেতাম, তাও এখন ২০০-এর ঘরে। সারাদিন রিকশা চালিয়ে যে টাকা আয় করি, তা যদি তিন বেলার খাবারেই চলে যায়, তাহলে অন্য সব আর কী দিয়ে চালাব?

উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের নিত্য প্রয়োজনীয় ২৭টি পণ্যের শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়। তবে, রাজধানীর বাজারে এখনও তার কোনো প্রভাব পড়েনি। অধিকাংশ নিত্যপণ্যই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

আপন দেশ/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়