Apan Desh | আপন দেশ

কাঁচা মরিচের কেজি ৩শ’ ছাড়াল, ডিমের দাম কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৩:৪৭, ২১ জুন ২০২৪

আপডেট: ১৩:৫০, ২১ জুন ২০২৪

কাঁচা মরিচের কেজি ৩শ’ ছাড়াল, ডিমের দাম কমেছে

ফাইল ছবি

রাজধানীর বাজারে বেড়েই চলেছে কাঁচা মরিচের দাম। পণ্যটির দাম বেড়ে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে আলু-পেঁয়াজ-মুরগির দাম। মাছের বাজারেও অস্বস্তি। প্রায় সব ধরনের মাছে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকার মতো। তবে ডিমের দাম ডজনে কমেছে ১০ টাকা। 

শুক্রবার (২১ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে সরবরাহ কম তাই কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেড়ে গেছে। বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি ছিল ২২০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচে ১০০ টাকার বেশি দাম বেড়েছে।

এদিকে ঈদের আগে পাইকারিতে ৭৫-৮০ টাকা কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু সপ্তাহিক ছুটির দিনে পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা।

আলুর ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যায়। ঈদের আগপর্যন্ত খুচরা বাজারে আলুর কেজি ছিল ৬০ টাকা। তবে দু-এক দিনের মধ্যে খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজিও ৬০ টাকা ছাড়াতে পারে। জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা। তারা জানান, বাজারে সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজ, আলুর দাম কমবে।
এছাড়া বাজারে ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। কারওয়ান বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয় ১৫০ টাকা। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এখনো ঈদের আগের দাম, অর্থাৎ প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম কমলেও ঈদের পর তিনদিনের ব্যবধানে ফের বাড়ছে মুরগির দাম। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০-২০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়। আর প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়।

এদিকে বাজারে ধরণভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৬০-৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৩০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা ও লতি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতি কেজি পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা ও পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। আর ধনেপাতা ২০০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, কলমি ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য

স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। প্রায় সব ধরনের মাছে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৫০ টাকার মতো। বিক্রেতাদের অজুহাত, ঈদের কারণে মাছ কম আসায় বাড়ছে দাম। বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২৩০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০-২৪০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৬৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়। এছাড়া, আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়