ফাইল ছবি
চীন বাংলাদেশকে শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, চীনের রাষ্ট্রদূত আমাদের যেটি জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সিনো-আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে (এলডিসি) শতভাগ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেবে চীন।
২০২২ সালে চীন ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়। যার মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ ৩৮৩টি নতুন পণ্য ছিল।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে চীন থেকে ১৮ দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে চীনে রফতানি হয় ৬৭৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।
পররাষ্ট্র সচিব আরো জানান, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর চীন থেকেই সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। যার পরিমাণ ৮ মিলিয়ন ডলার। আমরা আশা করছি চীনে রফতানির পরিমাণ আরো বাড়বে। দেশ থেকে চীনে আম রফতানির প্রক্রিয়া মোটামুটি চূড়ান্ত হয়েছে। কাঁঠাল ও পেয়ারার মতো অন্যান্য ফলও রফতানি করা হবে।
২০২০ অর্থবছরে চীন দুই দশমিক চার ট্রিলিয়ন মূল্যমানের পণ্য আমদানি করে। যার মধ্যে বাংলাদেশের অংশ মাত্র শুন্য দশমিক শুন্য পাঁচ শতাংশ। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
আপন দেশ/কেএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।