ফাইল ছবি
গণ-আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে বেশ কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নিয়েছেন। বর্তমানে মানুষের হাতে ব্যাংকের বাইরে থাকা টাকার পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা। যা ব্যাংক খাতের চলমান তারল্য সংকটকে আরো তীব্র করে তুলেছে। অনেক ব্যাংক গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী নগদ টাকা দিতে পারছে না। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক ২ লাখ টাকার বেশি নগদ উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এখন অনেক গ্রাহক এটিএম বুথ থেকে প্রয়োজনীয় টাকা তুলতে পারছেন না। মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রভাবশালীরা অতিরিক্ত নগদ টাকা উত্তোলন করেছে। যা ব্যাংকগুলোর কার্যক্রমকে আরো কঠিন করে তুলছে।
ব্যাংক একীভূতকরণ এবং অন্য নীতিগত ভুলের ফলে ব্যাংকগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতা বাড়ছে। গ্রাহকরা একসঙ্গে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন। যার ফলে ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়ছে। অনেক গ্রাহক ব্যাংকগুলোর দুর্বলতার খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ফলে নতুন আমানতও কমে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নগদ উত্তোলনের সীমাবদ্ধতা সম্ভবত সাময়িক। তিনি দুর্বল ব্যাংকগুলোকে নজরদারিতে রেখে সুষ্ঠু কার্যক্রম পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে, সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা মুনাফা এবং মূল টাকা তুলতে পারছেন না। এর ফলস্বরূপ, ব্যাংক খাতের বর্তমান সংকট চিহ্নিত করতে এবং তার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন টাস্কফোর্স গঠনের পরিকল্পনা করছে।
অবশ্য, ব্যাংক খাতের জন্য আমানত বিমার আওতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গভর্নর আহসান বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, ব্যাংকগুলো ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার হবে এবং গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।