Apan Desh | আপন দেশ

আত্মঘাতী হতে পারে নীতি সুদহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

আপডেট: ১৯:০৬, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

আত্মঘাতী হতে পারে নীতি সুদহার

ফাইল ছবি

মূল্যস্ফীতি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক দফায় দফায় নীতি সুদহার বাড়াচ্ছে। ছোট হচ্ছে ব্যবসার পরিধি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সুদের চাপ নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি মন্দা ডেকে আনবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক গত এক মাসে দুইবার নীতি সুদহার বাড়িছে। প্রথমে ৯ শতাংশ এবং পরে আরো ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বাড়ানো হয়। নীতি সুদহার নির্ধারণ করা হয় ৯.৫ শতাংশ। এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংক ঋণের সুদহার দাড়িছে ১৫ শতাংশেরও বেশি। অতিরিক্ত সুদধের কিস্তি পরিশধের চাপে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। ফলে সংকুচিত হচ্ছে ব্যবসার পরিধি।

সুদহার বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতি সামাল দেয়ার পদক্ষেপের বিপক্ষে ব্যবসায়ীরা। তারা বলছে, এটি আপৎকালীন কার্যকরী হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদে তা আত্মঘাতীই হবে। এতে কমে যাবে বিনিয়োগ। কর্মসংস্থানের সংকট দেখা দিতে পারে।

ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) সভাপতি হুমায়ূন রশিদ বলেন, সুদহার বাড়লে দ্রব্যমূল্যের ওপরও চাপ পড়বে। এতে বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকতে পারেন। ভোক্তাদের সহনশীলতাও হ্রাস পাবে।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ জানান, সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে চললে ব্যবসায়ীরা মূলধনের অভাবে তাদের ব্যবসার ধরন পরিবর্তন করতে বাধ্য হতে পারেন। এ পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ কমে যাবে। নতুন চাকরি সৃষ্টির সম্ভাবনাও ক্ষীণ হবে।

অর্থনীতিবিদদের মত
অর্থনীতিবিদ হেলাল উদ্দিন মনে করেন, সুদহার বৃদ্ধির ফলে ব্যবসা পরিচালনার খরচ বাড়বে। উৎপাদন ও আমদানির খরচও বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদহার বৃদ্ধি ও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ কারণে আরও গভীর হতে পারে যদি এ নীতি অব্যাহত থাকে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়