Apan Desh | আপন দেশ

‘রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রয়োজন আরবি শিক্ষা’

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ১৮:০২, ২ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ২০:০৮, ২ নভেম্বর ২০২৪

‘রেমিট্যান্স বাড়াতে প্রয়োজন আরবি শিক্ষা’

ছবি: আপন দেশ

রেমিট্যান্স বাড়াতে আরবি ভাষা শিক্ষা নিয়ে জনমত গঠন জরুরি। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকরা ভাষার অভাবে অনেক সুযোগ হারাচ্ছেন। আগামীতে আমাদের জনশক্তির অপচয় না হয় সেদিকে সবার খেয়াল রাখা দরকার। এ মন্তব্য করেছেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) চেয়ারম্যান ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ। 

শনিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মধ্যপ্রাচ্য কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্স প্রবাহ’ শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া শ্রমিকদের ‘কাইফা হালুকা, আনা বিখায়ের’ আরবি সেন্টেন্স জানলেই হবে না। তাদেরকে আরবি বুঝতে ও লিখতে সক্ষম হতে হবে। এজন্য দেশ থেকেই আরবি ভাষা শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। ভাষা না জানার কারণে আমরা আর্থিক মর্যাদায়ও আমরা অন্যদের থেকে পিছিয়ে থাকবো।

মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের মাধ্যমে অনেক সার্টিফিকেটধারী তৈরি হয়। তবে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। ভাষা জ্ঞান না থাকার কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকরা অন্যান্য দেশের শ্রমিকদের তুলনায় কম সুযোগ পাচ্ছেন। বিদেশে কাজের সময়, জমিজমা বিক্রি করে যাওয়া শ্রমিকদের চাপের মধ্যে থাকতে হয়। যা তাদের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে।

সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের কর্মীরা মধ্যপ্রাচ্যে অধস্তনের অধস্তন হিসেবে কাজ করে। সবচেয়ে প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে পাকিস্তানি ও শ্রীলঙ্কান। অন্যরা হচ্ছে বাংলাদেশিদের। এটার অন্যতম কারণ ভাষা জানে না। তারা ভাষা জানার কারণে মালিকদের কাছাকাছি যেতে পারে। তবে আমরা যেতে পারি না, তাদের বুঝাতেও পারি না। যে কারণে চাইলেও মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের শ্রমিকরা বড় কোনো পদে যেতে পারেন না।

এদিকে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি তিন স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে: রেমিট্যান্স, গার্মেন্টস ও গ্রামীণ উন্নয়ন। 

তিনি বলেন, প্রবাসীদের বলা হয় রেমিট্যান্স যোদ্ধা। সত্যিকার অর্থে তারাই আসল যোদ্ধা। আমরা জাতিগত ভাবে স্বাধীনতা লাভ করেছি। তবে অর্থনৈতিকভাবে এখনো স্বাধীনতা অর্জন করতে পারিনি। এজন্য বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্যদের কাছে কম্প্রোমাইজ করতে হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রবাসীরা যে কয় টাকার বেতনে চাকরি করে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ দেশে পাঠায়। তারা ওভারটাইম করে বাড়তি আয় করে। বৈদেশিক মুদ্রার পুরোটাই তারা দেশে পাঠায়। প্রবাসীরাই অর্থনৈতিক মুক্তিযোদ্ধা।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ কুরআন প্রচার ফাউন্ডেশন ও সাবেক উপ-প্রধান প্রকৌশলী বাংলাদেশ বিমান মো. তামজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, জাতীয়  সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ই্নস্টিটিউটিট (নিপোর্ট), প্রাক্তন ইকোনমিক কাউন্সিল ও মিনিস্টার, বাংলাদেশ দূতাবাস সৌদি আরব ড. মো. আবুল হাসান। 

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপ-উপাচার্য, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্দ শহীদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি বিভাগে চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক, স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান, নির্বাহী কমিটি  গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক  নূরুল ইসলাম খলিফা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আব্দুল আউয়াল সরকার।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়