ড. আহসান এইচ মনসুর
রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে সাময়িকভাবে এলসি মার্জিন ও ঋণসীমা উঠিয়ে দেয়া। এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
তিনি বলেন, এটা শুধু রোজায় সাময়িক সময়ের জন্য করা হবে। শুধুমাত্র ছোলা, চিনি, গম, ভোজ্যতেলসহ ৪/৫টি পণ্যের জন্য। অন্য কোনো পণ্যের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
গভর্নর বলেন, গত সরকারের আমলে মূল্যস্ফীতি জোর করে কমিয়ে রাখা হতো। কিন্তু জুলাইয়ের পর থেকে এটা ফ্রি। যার কারণে সঠিক তথ্যই ওঠে আসছে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, অক্টোবরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি আবারো ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তিনি বলেন, পণ্যের দাম কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরও সময় লাগবে। ৭ বছর ধরে বেড়ে চলা মূল্যস্ফীতি হঠাৎ করেই কমানো যাবে না। মানুষকে ধৈর্য ধরতে হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কম আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ডলার রেট বর্তমানে স্থিতিশীল আছে। সুতরাং মূল্যস্ফীতি কমতে বাধ্য।
এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে, গত অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। তবে নিম্নমুখী খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও।
অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে যেটি ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এছাড়া অক্টোবরে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে যেটি ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।