ছবি : সংগৃহীত
হেমন্ত কাল এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই শীতে কাঁপছে দেশের উত্তর জনপদ। অন্যান্য জেলাতেও সুড়সুড়ি দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। রাজধানীতে বসবাসকারী মানুষ এখনও শীতে কাবু না হলেও শীতকালীন সবজি কিনতে গিয়ে জুবুথুবু অবস্থা।
বাজারে থরে থরে সাজানো সবজি। বেড়েছে এর সরবরাহও। এর পরও বেশিরভাগ সবজির তুলনামূলক দাম কমেনি। এতে হাতের নাগালে পেয়েও চড়া দামের কারণে এসব সবজি কিনতে পারছেন না অনেকেই। ব্যবসায়ীরা জানান উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় এবার দাম একটু বেশি। তবে দাম কমবে বলে জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর খিলগাঁও, শাহজাহানপুর, কমলাপুর, রামপুরা, কারওয়ান বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।
শীতের সবজির ফুলকপি ও বাঁধাকপি আসলেও দাম তুলনামূলক বেশি। ছোট আকারের একেকটি কপি ৩৫-৪০ টাকা পিস, ছোট আকারের লাউ ৪০-৫০ টাকার মধ্যে, মাঝারি আকারের লাউয়ের দাম ছিল প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে প্রতিকেজি শিম ৮০ টাকা, বেগুন মান ভেদে ৫০-৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, দেশি গাজর ১২০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০ টাকা, পটল ৩৫ টাকা, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, শসা, ঝিঙা, কচুর মুখি, মুলা, ধুন্দল, বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৪০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাক ২০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ২০ টাকা, পালং শাক ২০ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
বাজারে ডজন প্রতি সাদা ফার্মের ডিম ১৪০ টাকা, লাল ফার্মের ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হাঁসের ডিম ডজন প্রতি ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ডজন প্রতি ২৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা থেকে ৫৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, ছাগলের মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আলু ৭০ টাকা, মান ভেদে নতুন আলু ১০০- ১১০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা এবং আদা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে পাঁচ কেজি সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকা, দেশি মসুর ডালের কেজি ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা,রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ছয় কেজি ওজনের রুই মাছ ৪০০ টাকা, এক কেজি ওজনের রুই মাছ ২৮০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১১০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২১০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার ২০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৯০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রেতা নুরুল হক বলেন, মাছের বাজার প্রতি সপ্তাহে বাড়ে আবার কমে। আজ ২০ টাকা কমলে, সামনের বাজারে ৩০ টাকা বাড়ে। কাঁচামালের বাজার দিয়ে কোনো ভরসা নেই, তবে তেলাপিয়া, সিলভার ও পাঙাশ মাছ দুইশ টাকার মধ্যে থাকলে মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য কিনতে সুবিধা হয়।
মসল্লার বাজারে বর্তমানে ভারতীয় জিরা কেজি প্রতি প্রায় ৭৮০ টাকা, শাহী জিরা কেজি প্রতি ১৬৬০ টাকা, মিষ্টি জিরা কেজি প্রতি ২৪০ টাকা, পাঁচফোড়ন কেজি প্রতি ২০০ টাকা, রাঁধুনী কেজি প্রতি ৫০০ টাকা, মেথি কেজি প্রতি ১৫০ টাকা, চিনাবাদাম কেজি প্রতি ১৬০ টাকা, কাজু বাদাম কেজি প্রতি এক হাজার ৬০০ টাকা, পেস্তা বাদাম কেজি প্রতি দুই হাজার ৭৫০ টাকা, ত্রিফলা কেজি প্রতি ১৫০ টাকা, জয়ফল কেজি প্রতি ৮০০ টাকা, তেজপাতা কেজি প্রতি ১৮০ টাকা, সাদা গোলমরিচ কেজি প্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা, গোলমরিচ কেজি প্রতি এক হাজার ২০০ টাকা, ধনিয়া কেজি প্রতি ২৫০ টাকা, সরিষা প্রতিকেজি ১০০ টাকা, কিসমিস কেজি প্রতি ৫২০ থেকে ৫৪০ টাকা, এলাচ কেজি প্রতি তিন হাজার ৮০০ টাকা, কালো এলাচ কেজি প্রতি ৩ হাজার টাকা, লবঙ্গ কেজি প্রতি ১ হাজার ৭০০ টাকা, জয়ত্রি কেজি প্রতি দুই হাজার ৯০০ টাকা, পোস্তদানা কেজি প্রতি এক হাজার ৮০০ টাকা, আলুবোখারা কেজি প্রতি ৫৫০ টাকা, দারুচিনি কেজি প্রতি ৫৫০ টাকা, খোলা হলুদের গুঁড়া কেজি প্রতি ৩৭০ টাকা, খোলা মরিচের গুঁড়া কেজি প্রতি ৪৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার ভেদে মসলার দামের ভিন্নতা রয়েছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, নতুন পাইজাম ও আটাশ চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে না আসায় বাজারে তেমন প্রভাব পড়েনি, আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।