তারিক আফজাল, এবি ব্যাংকের লোগো। ফাইল ছবি
কানাডা থেকে পদত্যাগ করেছেন এবি ব্যাংকের এমডি তারিক আফজাল। তিনি ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তারিক আফজাল।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) ইমেইলে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে ব্যাংকের অতিরিক্ত এমডি সৈয়দ মিজানুর রহমানকে এমডি পদে চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
তারিক আফজাল ২০১৮ সালে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে এবি ব্যাংকে যোগ দেন। ২০১৯ সালের ৮ জুলাই তিনি ব্যাংকটির এমডি পদে দায়িত্ব পান।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও উদ্যোক্তাদের অনৈতিক সুবিধা নেয়ার কারণে ব্যাংকটির আর্থিক সূচক ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। খেলাপি ঋণ বেড়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, চাহিদামতো নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে হবে। ডিসেম্বর শেষে এ ব্যাংককে আট হাজার কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যবেক্ষক থাকলেও আর্থিক পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এরপরও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার যে বিশেষ ছাড় দিয়েছিলেন, তাতে ব্যাংকটি গত বছরে ৭২ কোটি টাকা মুনাফা দেখিয়েছে। তবে জুন শেষে মুনাফা কমে ১৪ কোটিতে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন>>>এবি ব্যাংকের বিষফোড়া আ.লীগ নেতা তারিক আফজাল!
এবি ব্যাংকের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন সাবেক বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যাংকটি তার পরিবারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের পক্ষে ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন ওয়াহিদুল হক, যিনি মোরশেদ খানের চা-বাগানের পরিচালক ছিলেন। এরপর সাবেক ডেপুটি গভর্নর মোহাম্মদ এ (রুমী) আলীও তাদের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন। এখন ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী।
এদিকে চার দশকের পথচলায় ঘরে-বাইরে নানামুখী চক্রান্তে বদল হয়েছে ব্যাংকটির চালিকা শক্তি। সর্বদিক থেকে প্রশংসিত হওয়ায় এতে নজর পড়েছিল স্বৈরাচারের। উদ্যোক্তাদের অতি-লোভ আর দখলদার চক্রের কারণে এবি ব্যাংক হয়েছে চিঁড়েচেপটা।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।