ছবি: আপন দেশ
গুচ্ছ দাবি নিয়ে অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। তাদের দাবি সরকার পরিবর্তন হলেও অগ্রণী ব্যাংকের পদোন্নতিতে দুর্নীতি করছে নতুন পর্ষদ। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ৪টা থেকে সাড়ে ৩ঘণ্টা অবরুদ্ধ রাখা হয় পুরো পর্ষদকে। পরে আন্দোলনকারীদের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেন। আগামী বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। পরে আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে। পর্ষদ সদস্যরা অবমুক্ত হয়।
এর আগে কর্মকর্তারা আরও বলছেন, বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ঋণ জালিয়াতিতে সহায়তাকরী ডিএমডি-জিএমরা এখনও স্ব-পদে বহাল আছেন। এমনকি তারা ঋণগুলো নবায়ন ও আদায়ের ক্ষেত্রেও ব্যাংক থেকে অনৈতিক সুবিধা বাগিয়ে নিচ্ছেন । বিষয়গুলো পরিচালনা পর্ষদকে অবহিত করলেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন<<>> রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক এখনো স্বাধীন হয়নি! পদোন্নতি মিলে তার ইশারায়
কর্মকর্তারা লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৫ আগষ্ট এ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পরে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে স্বৈরাচারের সরাসরি সহযোগীদের বিদায় হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু টাকা পাচার করে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে যে খাত থেকে সে আর্থিক করে সরকারি ব্যাংক গুলো হতে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান এবং এমডিদের বিদায় দেয়া হয়। কিন্তু এইসব চেয়ারম্যান-এমডিদের অনিয়ম, জালিয়াতি এবং অর্থপাচারের সরাসরি সহযোগী ডিএমডি-জিএম এবং কিছু কিছু ডিজিএমরা এখনো বহালতবিয়তে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ এ সুযোগে নিজেদের রং বদলাতে যা যা করার প্রয়োজন তাই করে যাচ্ছেন।
অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির ব্যতিক্রম নয়। এখানেও স্বৈরাচারের দোসর ডিএমডি-জিএমদের স্ব-পদে রেখেই নতুন চেয়ারম্যান-সিইও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি জানার জন্য অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে কোনো সারা পাওয়া যায়নি।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।