ছবি সংগৃহীত
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ইসমাইল হোসেন জিসান তাকে হত্যার দায়ে ৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (০৫ জানুয়ারি) ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিনের আদালত এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, হাসিবুল হোসেন ওরফে হাসিব, শ্রাবণ ওরফে শাওন ও আব্দুল্লাহ আল নোমান। রায়ে সজনী আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়। দন্ডিতদের মধ্যে শাওন পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অপর দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর শরীফুল ইসলাম লিটন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলা থেকে জানা যায়, জিসান পড়াশোনার পাশাপাশি বাইক শেয়ারিংয়ের (পাঠাও) কাজ করত। ২০১৯ সালের ১২ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর সামনের রাস্তা থেকে নিখোঁজ হন তিনি। এ ঘটনায় তার বাবা সাব্বির হোসেন সহিদ গাজীপুরের গাছা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে শেরে বাংলা নগর থানায়ও জিডি করেন। ওই বছর ২৩ মে গাছা থানাধীন মধ্য কামার জুড়িস্থ হাসিবুল হোসেনের বাসার সেফটিক ট্যাংক থেকে জিসানের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সাব্বির হোসেন সহিদ একই দিন শেরে বাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি ৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শেরে বাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজানুর ইসলাম। ২০২২ সালের ৩০ মার্চ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।