Apan Desh | আপন দেশ

খেজুর-ছোলায় স্বস্তি, সয়াবিনের সঙ্কট কাটেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:১৩, ৭ মার্চ ২০২৫

আপডেট: ১৬:৪৪, ৭ মার্চ ২০২৫

খেজুর-ছোলায় স্বস্তি, সয়াবিনের সঙ্কট কাটেনি

ছবি : আপন দেশ

গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে জর্জরিত। কোনো উদ্যোগেই মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা যাচ্ছিল না। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিল। অবশেষে এটি কমতে শুরু করেছে। খাদ্য পণ্যে যে মূল্যস্ফীতি কমেছে, তার প্রতিফলন বাজারেও দেখা গেছে। 

রোজার প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম। তবে রোজার আগে ঊর্ধ্বমুখী ছিল লেবুর দাম। হালিতে বেড়েছিল কয়েকগুণ। সেসঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছিল শসা ও বেগুন। সপ্তাহ না পেরুতেই কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে এসব কাাঁচা পন্যের বাজারে। তবে সঙ্কট কাটেনি সয়াবিনের। 

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কমলাপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, লেবু-শসা বা বেগুনের মতো বাড়তি চাহিদার পণ্যগুলোর দামও কমছে। আগে বেগুন ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ৬০-৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লেবুর হালি ৪০ টাকা ও শসা ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া অন্যান্য সবজির বাজার আছে আগের মতোই। করলা আর ঢেঁঢ়স ছাড়া বেশিরভাগ সবজির দর কমেছে। প্রতি কেজি করলা ৬০-৮০ এবং ঢেঁঢ়স ৬০-৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া অন্যান্য সবজি কেনা যাচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে। টমেটোর কেজি কেনা যাবে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে।

এছাড়া গত বছর উত্তাপ ছড়ানো পেঁয়াজের ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। খুচরা পর্যায়ে দেশি ভালো মানের প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪৫ টাকায়। যেখানে গত বছর এসময় বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাকে খরচ করতে হয়েছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা। একইভাবে আলুর দাম অর্ধেক কমে এখন ২০-২৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে পণ্যের দামে স্বস্তির কথা বলছেন অনেক ক্রেতা। হাসান নামে একজন বলেন, রমজান হিসাবে বাজারে আগে যে হুলস্থুল পরিস্থিতি থাকতো সেটা এবার নেই। বেশিরভাগ পণ্যের দাম নাগালের মধ্যে।

এদিকে রোজা শুরুর কারণে গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা বেড়ে ২২০ টাকায় উঠেছিল। এখন আবার কমে ২০০ টাকার মধ্যে এসেছে। পাশাপাশি ডিমের বাজারও নিম্নমুখী। প্রথম রোজায় ফার্মের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা দরে। ডজনে ১০ টাকা কমে গতকাল বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা দরে। তবে মহল্লার দোকানে কেউ কেউ ডজনে ৫ টাকা বেশি রাখছেন।

এদিকে মোটাদাগে বলতে গেলে এ বছর পবিত্র রমজানে পণ্যের দাম অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশ স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে রয়েছে মুদি পণ্যের দাম। রোজা শুরুর আগেই বাজারে অরাজকতা এবার দেখা যায়নি। তবে চালের দাম বাড়তি রয়ে গেছে, সেটা অবশ্য কমেনি। এ বছর এখন পর্যন্ত চিনি, খেজুর, ডালের দাম কম রয়েছে।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়