Apan Desh | আপন দেশ

ঈদের আগে মুরগি-মাংস-মসলার দাম বৃদ্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:২৮, ২৮ মার্চ ২০২৫

ঈদের আগে মুরগি-মাংস-মসলার দাম বৃদ্ধি

ছবি : আপন দেশ

শেষ দশকের শেষ প্রান্তে চলে এসেছে পবিত্র রমজান মাস। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর দুয়ারে দাড়িয়ে ঈদুল ফিতর। এটি মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এ দিন হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে যায় মানুষ। ঈদের আনন্দ-চেতনার ছোঁয়া মানবিকতা জাগ্রত করে। কিন্তু আমাদের দেশের এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা ঈদকে টার্গেট করে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে। মানুষের চাহিদাকে পুঁজি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। আসন্ন ঈদুল ফিতর সামনে রেখে মুরগি, গরু, খাসি ও মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে তেল, চিনি, পোলাওয়ের চাল, সেমাই, সবজি ও মাছের বাজার। 

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গরু ও খাসির মাংসের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা। ব্রয়লার ও পাকিস্তানি মুরগির দাম বেড়েছে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ টাকা। রাজধানীর কমলাপুর কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২১০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে। একইভাবে বেড়ে পাকিস্তানি মুরগির দাম ৩৩০-৩৪০ টাকা হয়েছে। এ মুরগি আগে ৩০০-৩১০ টাকায় পাওয়া যেত।

বিক্রেতা আমির বলেন, ঈদের সময় মুরগির চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। প্রতিটি পরিবার রোস্ট বা বিরিয়ানির জন্য মুরগি কেনে। সে তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।

রোজার শুরু থেকেই সাড়ে ৭০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে। ঈদ সামনে রেখে দাম বাড়িয়ে দিয়েছের মাংস ব্যবসায়ীরা। এখন ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা দাম বেড়েছে।

মাংস বিক্রেতা বাবলু বলেন, আগে গরুর দাম কম ছিল তাই কমে বিক্রি করেছি। এখন গরুর দাম একটু বেড়েছে। সে কারণে মাংসের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। 

ঈদের আগে মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। রফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, অন্য কোনো সময় হলে দাম বাড়ার কারণে কিনতাম না। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে কিনতেই হচ্ছে, কারণ ঈদ। সে সুযোগে দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে। 

এদিকে ঈদের বাজারে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল দেখা গেছে। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। গতবার ঈদের আগে এ চিনি কিনতে হয়েছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। সয়াবিন তেলও সরকার নির্ধারিত ১৭৫ টাকা লিটারে মিলছে। একইভাবে ভালো মানের সুগন্ধি চাল ১১৫-১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা গত বছরের ঈদের আগের চেয়ে প্রায় ২০ টাকা কম।

অন্যদিকে প্যাকেট সেমাই বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। এছাড়া খোলাসেমাই প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৪০, খোলা চিকন সেমাই ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মসলাজাতীয় পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের দর এখনো কম। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। রসুনের দরে পরিবর্তন নেই। আগের মতোই আমদানি করা রসুনের কেজি ২০০ থেকে ২২০ এবং দেশি রসুনের কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়।

তবে দাম বেড়েছে গরম মসলার। বাজারে প্রকারভেদে প্রতিকেজি এলাচ ৩২০০ থেকে ৫৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা, জিরা ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গোলমরিচ ৭০০ টাকা, দারুচিনি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, আলুবোখারা ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, হলুদের গুঁড়া ৪০০ টাকা, কালোজিরা ৩৫০ টাকা ও তেজপাতা ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়