ছবি: আপন দেশ
চলতি অর্থবছরের বাজেট নিয়ে দ্য চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, এ বাজেট স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে। পাশাপাশি আমদানিকে নিরুৎসাহিত করে দেশীয় শিল্পকে সমৃদ্ধ করতে সহায়ক হবে।
এছাড়া সর্বজনীন পেনশন চালু ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর উপকারভোগীদের ভাতা বাড়ানো, চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ২ হাজার ২০০ শয্যায় উন্নীতকরণ ও চট্টগ্রামে চামড়া শিল্পনগরী স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বৃহস্পিতিবার ( ১জুন) উত্থাপিত বাজেট উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চিটাগং চেম্বার সভাপতি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
চেম্বার সভাপতি বলেন, বাজেটে মোট ব্যয় ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, মোট আয় ৫ লাখ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। পরিচালন ব্যয় ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নেয়া হবে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা ব্যয় হবে, যা সরকারের বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ঘাটতি মোকাবেলায় ক্রমবর্ধমান ঋণের ক্ষেত্রে সরকারের সচেতন হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা, যা ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করছি। এছাড়া মহিলা ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের ক্ষেত্রে ৪ লাখ টাকা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে ৫ লাখ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতাদের ৪ লাখ ৭৫ হাজার এবং তৃতীয় লিঙ্গ করদাতাদের ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করহার নির্ধারণ করা হয়েছে, যা চলমান মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় অর্থনীতিকে সচল রাখতে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: ঋণ নির্ভরতা-চাপ বাড়বে সরকারের ওপর
দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে অ্যাসেট প্রজেক্টের আওতায় ছয় লাখের অধিক মানুষকে কারিগরি শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যা খুবই প্রশংসনীয়। এ প্রজেক্টের আওতায় চট্টগ্রামে ভারী শিল্প কারখানাসহ ভবিষ্যৎ শিল্পায়নের কথা বিবেচনা করে চট্টগ্রামে ন্যূনতম এক লাখ প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি করছি। রাজউক ও সিডিএর আওতাধীন ও বহির্ভূত এলাকায় জমি রেজিস্ট্রেশনকালে যৌক্তিকভাবে উৎসে করহার বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যার ফলে অবস্থানভেদে ভিন্ন উৎসে কর নির্ধারণের ফলে এ বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, যা পরিহারে সুষম উৎসে কর নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।
তিনি আরো বলেন, ডলার সংকটের কারণে অনেক অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ স্থগিত হয়ে আসছে। এর মধ্যে সিমেন্ট উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল ক্লিংকার আমদানিতে সুনির্দিষ্ট শুল্ক বৃদ্ধি করায় ক্রমবর্ধমান অবকাঠামোগত উন্নয়নের খরচ আরো বাড়িয়ে দেবে। তাই অবকাঠামোগত উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এ শুল্ক আগের মতো করার সুপারিশ করছি।
মাহবুবুল আলম বলেন, ট্যারিফ যৌক্তিকীকরণ করতে গিয়ে ১৯১টি পোশাক শিল্পের পণ্যের নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করায় এ খাতের স্থানীয় উদ্যোক্তারা অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারে। অন্যদিকে ২৩৪টি প্যাকেটজাত মৎস্য পণ্যে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করায় দেশীয় মাছকে প্যাকেটজাত করার উদ্যোগ নিরুৎসাহিত হতে পারে।
আপন দেশ/প্রতিনিধি/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।