-ফাইল ছবি
দশ দিনের ব্যবধানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১২ কোটি মার্কিন ডলার। আইএমএফের হিসাবে দেশের বর্তমান প্রকৃত বা নিট রিজার্ভ ২৩ দশমিক ৪৫০ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৩৪৫ কোটি মার্কিন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ রয়েছে ২৯ দশমিক ৮৫০ বিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৯৮৫ কোটি ডলার।
রোববার (২৩ জুলাই) সকালে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে গত ১৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল তাদের হিসাবে রিজার্ভ রয়েছে ২৯ দশমিক ৯৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর আইএমএফের হিসাবে ২৩ দশমিক ৫৬৯ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে ১০ দিনের ব্যবধানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১২ কোটি মার্কিন ডলার।
আমদানি ব্যয়সহ বিভিন্ন ব্যয় মেটাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার একই সঙ্গে বিভিন্ন সোর্স থেকে রিজার্ভ হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়।
>>> আরও পড়ুন: আইএমএফের ফর্মুলায় রিজার্ভ ২৩ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার
এর মধ্যে রফতানি আয় ও প্রবাসী আয়ের একটি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়, যদি তা সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের অতিরিক্ত ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক যদি তা কেনে।
এছাড়া বৈদেশিক ঋণের অর্থ সরাসরি রিজার্ভে যুক্ত হয়। গত সপ্তাহে বৈদেশিক মুদ্রা আসা ও যাওয়ার পর রিজার্ভ কমেছে ১২ কোটি মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি, নতুন পদ্ধতিতে হিসাব করা রিজার্ভ দিয়েও সাড়ে ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। আর কোনো দেশের ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ থাকাকে যথেষ্ট মনে করে আইএমএফ।
আপন দেশ/এমএমজেড
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।