ফাইল ছবি
কুষ্টিয়া: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হলে বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছুটা হলেও প্রভাব পড়তে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধী শক্তি বিরাজমান থাকে সবসময়। নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল হতে দেব না। সবসময় সতর্ক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা কখনো দৃশ্যমান আবার কখনো অদৃশ্যমান। সেটি মাথায় রেখেই প্রক্টরিয়াল বডিকে সতর্ক থাকতে বলেছি। আইসিটি সেলকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার কোনটা কি অবস্থায় আছে দ্রুত জানাতে চাওয়া হয়েছে।
নির্বাচন সামনে রেখে শিক্ষার পরিবেশ কেমন থাকবে এই বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশে বিঘ্নিত না হয় সেই ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকব। শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর রাখতে নিজেদের মধ্যে এলার্টনেস বাড়াতে হবে। এইসব পদক্ষেপ যথাযথ পালন হলে আশাকরি নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নতা ঘটবে না।
প্রক্টরের ভাষ্যমতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বলয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে। নির্বাচনে রাজনীতির মাঠ নিজেদের দখলকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে যেকোন সময় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হতে পারে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে একজোট হয়ে এরকম আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইসিটি সেল।
সবমিলিয়ে আইসিটি সেল ও প্রক্টরের কার্যালয় বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনকে আইসিটি সেল কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা যায়। আবাসিক হলগুলোর সামনে ও পেছনে আইপি ক্যামেরা বসানো। যাতে হল প্রভোস্টরা যেকোন স্থান থেকে হল মনিটরিং করতে পারে এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
এদিকে প্রক্টরের কার্যালয় থেকে আইসিটি সেল থেকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলোর সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়সভা করেছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেলের নিয়ন্ত্রণে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা আছে ২০ টি। এর মধ্যে সচল মাত্র ৩টি। এই তিন ক্যামেরা দিয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক ও মসজিদ রোডের একাংশ দেখভাল করা হয়। আর পুরো ক্যাম্পাস নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকে।
এছাড়া ক্যাম্পাসে ৪ জন কমান্ডারসহ নিরাপত্তা প্রহরী আছেন ৯৪ জন। যার মধ্যে ১৪ জন কুষ্টিয়ায় ও ক্যাম্পাসে ৭৬ জন নিরাপত্তা প্রদান করেন। অল্পসংখ্যক জনবল দিয়ে পুরো ক্যাম্পাস নিরাপত্তা বলয়ে আনা সম্ভাব হয় না বলে জানান নিরাপত্তা দফতর প্রধান আব্দুস সালাম সেলিম।
এদিকে ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণ বহিরাগতদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে দেখা মেলে বহিরাগতদের বেপরোয়া গতির বাইক। বহিরাগতরা মাদকের আসর বসায় মফিজ লেকে। সড়কবাতি থেকে শুরু করে লেক ব্রিজের সৌন্দর্য বর্ধন বাতি এবং বাউন্ডারির দেয়ালও রক্ষা পায়নি বহিরাগতদের হাত থেকে।
এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার জন্য কয়েকটি প্রস্তাব প্রশাসনকে দিয়েছি। প্রশাসন নিরাপত্তার বিষয়ে টেকনিক্যাল যেসকল সিদ্ধান্ত নিবে, সেগুলো বাস্তবায়ন করবে আইসিটি সেল।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রশাসন নিরাপত্তার জন্য একটা প্রকল্প নিয়েছে। খুব শীঘ্রই এটা অনুমোদন হয়ে যাবে। নষ্ট ক্যামেরাগুলো অতি দ্রুত ঠিক করা হবে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।