Apan Desh | আপন দেশ

পরীক্ষার দাবিতে ইবির প্রধান ফটক অবরোধ

ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৪৭, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

পরীক্ষার দাবিতে ইবির প্রধান ফটক অবরোধ

পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের ইবির প্রধান ফটক অবরোধ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া): পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্দোলন করেছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিভাগে দ্রুত সেমিস্টার পরীক্ষা শুরুর দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। পরে দুপুর ১ টায় বিভাগের দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। বিভাগে সমাধান না পেয়ে দুপুর ২ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে এ আন্দোলন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছেড়ে যাওয়া দুপুর ২টার বাস আটকা পড়ে। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় তারা পরীক্ষা শুরুর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের হাতে ‘দায়িত্ব পালনে অবহেলা কেন, বলতে হবে বলতে হবে।’ ‘শিক্ষার্থীরা রাজনীতির স্বীকার কেন, জবাব দিন জবাব দিন।’ ‘নিজেদের দায়িত্ব পালন করুন, পরীক্ষা নিন পরীক্ষা নিন’ ইত্যাদি লেখা প্লেকার্ড দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, আগামী ২৮ তারিখের মধ্যে নন ক্রেডিট পরীক্ষা নিতে হবে। পাশপাশি চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা এ মাসের মধ্যেই শুরু করতে হবে।

জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে একই দাবিতে বিভাগে তালা দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন বিভাগটির ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। তাদের পরীক্ষা দীর্ঘদিন আটকে রয়েছে। বারবার বিভাগের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেওেএ ব্যাপেরে কোনো আশ্বাস মেলেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগেরেএক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে শুনছি পরীক্ষা হবে। কিন্তু বারবার তারিখ দিয়েও সময়মতো পরীক্ষা নিতে পারছেন না শিক্ষকরা। এতে আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি। সকালে বিভাগে এসে শুনি চেয়ারম্যান স্যার অব্যাহতি নেবেন। তাহলে এখন আমরা পরীক্ষা দেব কীভাবে? এজন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর তারা প্রধান ফটক ছেড়েছে। এ বিষয়ে আমারা শিক্ষকদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সমাধানের পথ খুঁজব।

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সমাধানের অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে পারিনি। শনিবার সকালে আমি সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছি। প্রশাসন বিষয়টির প্রতি সুনজর দেবেন বলে আশাবাদী।

আপন দেশ/এমএমজেড

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়