Apan Desh | আপন দেশ

জাবি শিক্ষক যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বরখাস্ত

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:০৬, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

জাবি শিক্ষক যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বরখাস্ত

ফাইল ছবি

যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনিকে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেট সচিব আবু হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট গঠিত স্ট্রাকচার্ড কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ৪ (জ) ধারা অনুযায়ী সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়।

মাহমুদুর রহমান জনির সঙ্গে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এক প্রভাষকের অন্তরঙ্গ ছবি (সেলফি) ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করা হয়।

আরও পড়ুন <> খৎনা করাতে গিয়ে আরেক শিশুর মৃত্যু

একই সঙ্গে বিভাগের শিক্ষক পদে আবেদনকারী ৪৩ ব্যাচের আরেক ছাত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ কথাবার্তার অডিও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে মাহমুদুর রহমান জনি ওই নারীকে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর কথা শোনা যায়। এ ছাড়া, জনির সঙ্গে ছাত্রলীগের একাধিক নেত্রীর ‘অনৈতিক’ সম্পর্ক স্থাপন এবং ‘অশালীন’ চ্যাটিংয়ের ছবি ও তথ্য উঠে আসে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে জনির বিচারের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর জনির বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।

প্রাথমিক তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন স্পষ্ট নয় দাবি করে একই বছরের ৯ মার্চ পুনরায় গঠিত হয় ‘স্পষ্টীকরণ কমিটি’। গত বছরের ১০ আগস্ট ওই কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে স্ট্রাকচার্ড কমিটি গঠিত হয়। ছয় সদস্যের এই কমিটিতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য। এ ছাড়া নিজ অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, দুজন সিন্ডিকেট সদস্য এবং রেজিস্ট্রার এই কমিটির সদস্য মনোনীত হন। স্ট্রাকচার্ড কমিটির কার্যক্রম উপাচার্যের আহ্বানে সংগঠিত হয়।

সে হিসেবে মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে গঠিত এই কমিটিতে আছেন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নুহু আলম, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান মাহফুজা মোবারক এবং সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ ও অধ্যাপক আশরাফ-উল আলম।

আপন দেশ/এমআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়