Apan Desh | আপন দেশ

বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০:২২, ৯ মার্চ ২০২৪

আপডেট: ২০:৩৩, ৯ মার্চ ২০২৪

বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবি

ছবি: সংগৃহীত

বাস্তবায়িত নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। খবরের শিরোনাম হয়েছে বেশ কিছু ঘটনা। যা ভাবিয়ে তুলছে সচেতন ও সুশীল সমাজকে। নৈতিকতা বিবর্জিত নতুন এ শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবি জানিয়েছে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য। একই সঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতি সংস্কারের দাবিও করা হয়েছে।

শনিবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি সেমিনারের আয়োজন করে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য। এতে সভাপতিত্ব করেন জোটের মুখপাত্র ও ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিজাম উদ্দিন আল আদনান।

সেমিনারে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ববি হাজ্জাজ বলেন, শিক্ষানীতি বাস্তবায়নকারীরা ভুলে গেছেন যে, পশ্চিমাদের প্রণোদিত শিক্ষাব্যবস্থা ১৩০০ বছর আগের মুসলমানদের বায়তুল হিকমা থেকে নেয়া। দুনিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিই এসেছে মুসলিম সমাজ থেকে। যারা বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে তারা আমাদের বুঝাতে চায়, হিন্দুত্ববাদ থেকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সৃষ্টি। এটি ভুল।

তিনি বলেন, প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ কোনো কাজ বা গবেষণার কারণে গর্ববোধ করে না। মূলত বিভিন্ন সময়ে দেশের নানা ক্রান্তিকালে ছাত্রসমাজের ভূমিকার কারণে প্রশংসিত। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানের অবনতির মূল কারণ দলীয়করণ। ফলে তাদের জবাবদিহিতা বিলীন হয়েছে। বিশাল অঙ্কের রিসার্চ ফান্ড থাকার পরও কোন ফলাফল নেই। গবেষণার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও পিছিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

শিক্ষানীতি সম্পর্কে ববি হাজ্জাজ বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবসম্মত নয়। ফলে আমাদের পর্যাপ্ত জনবল থাকার পরও দেশের বাইরে থেকে লোক আনতে হচ্ছে। দেশের বিপুল জনগোষ্টি বেকার। অথচ বিদেশিদের দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন দরকার। কারিগরি, ধর্মীয় ও বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা জরুরী।

আরও পড়ুন>> সিরাজগঞ্জে ‘পিস্তল টিচারের’ গুলিতে ছাত্র আহত

বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, এদেশের মানুষ আজান শুনে ঘুমাতে যায়। আবার আজান শুনে ঘুম থেকে জাগে। তাদের জন্যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করবেন, অথচ তাদের মতামত নিবেন না। তাদের সঙ্গে বসবেন না। দেশটা কারও একার না। এটি বাস্তবায়নের আগে দেশের ছাত্র-শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসা দরকার ছিল। 

‘কিন্তু আপনারা বসলেন দিল্লির সঙ্গে। দেশের সাধারণ ছাত্রদের বাদ দিয়ে এ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নেই প্রতিটি ক্যাম্পাসে নানা অপকর্ম শুরু হয়েছে। যার জন্য শিক্ষক হিসেবে আমি লজ্জিত, গোটা জাতি লজ্জিত। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, সাধারণ ছাত্র তো দূরের কথা নিজ দলের কর্মীরাও তাদের কাছে নিরাপদ নয়।’

বেকারত্বের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে বেকারত্বের হার ৪৭ শতাংশ। এর সঙ্গে তরুণ বেকার বেড়েছে ১১ শতাংশ। দিনে দিনে দেশে বেকাত্ব বাড়ছে। অন্যদিকে বিদেশিরা এ দেশে কাজ করে বিপুল অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। এ সমস্যা প্রতিরোধ করতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করা ছাড়া বিকল্প নেই, সম্ভবও নয়।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের সেক্রেটারি মুহাম্মাদ আশিকুর রহমান জাকারিয়া সঞ্চালনা করেন। উপস্থিত ছিলেন লেখক ও গবেষক কবি মূসা আল হাফিজ, আর্মি ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সিলেটের সাবেক প্রভাষক সৈয়দ তালহা আলম প্রমুখ।

আপন দেশ/এসএমএ
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়