ছবি: সংগৃহীত
‘আব্বুর হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। অক্সিজেন মিটার ৩৫ শতাংশে নেমে আসছে। জরুরি ভর্তি করাতে হবে। ডাক্তার বলছেন- পেসমেকার লাগাতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। কিন্তু এ মুহূর্তে পেসমেকার লাগানোর মতো এত টাকা আমার কাছে নেই। তাই আমি আমার একটা কিডনি বিক্রি করে দিতে চাচ্ছি। ঢাকায় কোথায় কিডনি বিক্রি হয়? এক কিডনি নিয়ে বেঁচে থাকতে পারব, আব্বুকেও বাঁচাতে পারব।’
মঙ্গলবার (১৪ মে) মধ্যরাতে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এমনি একটি পোস্ট করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফতেহ আলী খান আকাশ।
তার এ পোস্টের পর আকাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আকাশ বলেন, ‘আব্বুকে আজ বুধবার (১৫ মে) সকালে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে (এনআইসিভিডি) ভর্তি করিয়েছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আব্বুর পেসমেকার লাগাতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। এ জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার প্রয়োজন। এর বাইরেও চিকিৎসার কাজে আরও কিছু খরচ হবে। কিন্তু আমার কাছে কোনো টাকা নেই, আব্বুকে বাঁচাতে আমার টাকার প্রয়োজন। কিডনি বিক্রি করে হলেও আমি চিকিৎসার খরচ জোগাতে চাই।’
কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে নেবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘যদি আব্বুর চিকিৎসার জন্য কোনো হাসপাতাল, ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে তাহলে আমি কৃতজ্ঞ থাকব’।
আকাশের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানা- ০১৭৯৯৫১০৭৮৩ ও ০১৬০৩৫৮১৬৩৮
ফতেহ আলী খান আকাশ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী। কিছুদিন আগে তার মাও মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আকাশের বন্ধু মহিউদ্দিন রিফাত।
আরও পড়ুন>> বুয়েটে ভর্তি অনিশ্চিত মিরাজের
সোশ্যাল মিডিয়ায় আকাশের পোস্ট অনেকেই শেয়ার করছেন। ইতোমধ্যে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র-জুনিয়র ও সহপাঠীরা যোগাযোগ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কেউ যোগাযোগ করেননি। তবে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষক খোঁজ নিয়েছেন।
করোনার সময়ে হাসপাতালে গিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের গান শুনিয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন আকাশ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও গানের জন্য জনপ্রিয় এ শিক্ষার্থী।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।