Apan Desh | আপন দেশ

টিকটক করে চাকরি হারাচ্ছেন ডুয়েট শিক্ষিকা

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৪৯, ২৪ মে ২০২৪

টিকটক করে চাকরি হারাচ্ছেন ডুয়েট শিক্ষিকা

ছবি: সংগৃহীত

টিকটক করে চাকরি হারাতে বসেছেন নিশাদ জাহান ইতু মিয়াজি। তিনি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) আর্কিটেকচার বিভাগের প্রভাষক। টিকটকে তার বিভিন্ন আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল। এ নিয়ে বিক্ষোভে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। তারা ওই শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিলের দাবিতে ক্যাম্পাসে আন্দোলন করেছেন।

ইতোমধ্যে তাকে পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছে। দেয়া হয়েছে বাদ্যতামুলক ছূটি। আন্দোলনের মুখে গঠিত হতে ডাচ্ েতদন্ত কমিটি। 

ভিডিও বানানোর জন্য ইতু মিয়াজি বেশ আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত বলে জানা যায়। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, টিকটকে ভিডিও নিয়ে কোনো আপত্তি নেই। আমরা এমন শিক্ষক চাই না, যার রুচিবোধ, আচার-আচরণ সমাজের প্রচলিত শিক্ষক, শিক্ষাব্যবস্থা কিংবা সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একজন শিক্ষক শুধু অ্যাকাডেমিক্যালি কিছু শেখাবেন বিষয়টা এমন নয়। তার সামগ্রিক সবকিছু শিক্ষার্থীরা ফলো করে। তার কাছে থেকে পড়াশোনার বাইরেও নানান কিছু শিখে। ইতু মিয়াজী কুরুচীকর ভিডিও করেন বলেই তারা তাকে শিক্ষিকা হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না।

আরও পড়ুন <> ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে শিশুদের সুরক্ষায় মেটা ব্যর্থ: ইইউ

আন্দোলননের সময় এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকের কাছ থেকে আমরা সবকিছু শিখি। তারা যদি এ ধরনের কনটেন্ট আমাদের দখোয় তাহলে আমরা কি শিখবো।  

ইতু মিয়াজি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করেছেন। চলতি মাসের ১৯ তারিখে ইতু মিয়াজিকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয় ডুয়েট কর্তৃপক্ষ। এর কিছুদিন পর ইতু মিয়াজির আপত্তিকর ভিডিওগুলো নিয়ে ক্যাম্পাসে এবং ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় ওঠে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একাধিক ভিডিও রয়েছে। এর মধ্যে একটি ভিডিওতে ইতু মিয়াজিকে বলতে শোনা যায়, ‘জন্ম থেকে যখন আমি প্রথম চোখ খুলি তখন আমার স্বপ্ন ছিলো বড় হয়ে আমি টিকটকার হবো। আরেকটি ভিডিওতে তিনি বলেন, যারা ছাগল, গরু চোর, ওরা টিকটক করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, টিকটিক ভিডিও তৈরি করা নিয়ে আমাদেরও কোনো আপত্তি নেই। আপত্তি করছি তার কুরুচীপূর্ণ কনটেন্ট নিয়ে। কিন্তু যেহেতু শিক্ষকতা একটা মহান পেশা, তিনি শিক্ষার্থীদের নীতি নৈতিকতার শিক্ষা দেবেন, সেখানে এ ধরনের একজন ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া আসলেই বেমানান।

এ বিষয়ে আর্কিটেকচার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বায়েজিদ ইসমাইল চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ইতোমধ্যে ওই শিক্ষিকাকে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার পাশাপাশি বুধবার (২২ মে) থেকে তাকে এক সপ্তাহের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে সকল প্রক্রিয়া মেনেই স্বচ্ছতার ভিত্তিতে তাকে (ইতু মিয়াজী) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা তাকে শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে আপত্তি জানিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করতে শিগগির একটি কমিটি গঠন করা হবে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়