ছবি: সংগৃহীত
সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নারী, জেলা, প্রতিবন্ধী, উপজাতিসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল আদেশের বিরুদ্ধে ফের উত্তাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস। কোটা বাতিল চেয়ে ‘বৈষম্যহীন সমাজ’ গড়তে বিক্ষোভ করছেন ঢাবির কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
রোববার (৯ জুন) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে কলাভবন, মলচত্বর, ভিসি চত্বর, টিএসসিতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশে মিলিত হয়।
আন্দোলনে আসা ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, ২০১৮ সালে আমরা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে জয়ী হয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কোটা সংসদে বাতিল করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টের নেয়া এ সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের স্বপ্নকে ভেঙে দিয়েছে। মেধার ভিত্তিতে দেশ গড়ার স্বপ্নকে ধুলিস্যাৎ করেছে। সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার ভঙ্গ করেছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে সাম্য গড়েছিল তা ভেঙে দিয়েছে।
ঢাবি শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার বলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন, কোটা প্রথা বাতিলের কথা জানিয়েছিলেন, সেখানে হাইকোর্ট আমাদের মেধাকে অবমাননা করে পায়ের নিচে পিষ্ট করেছে। আমি নারী হয়ে বলছি, আমি কোনো কোটা চাই না। আমরা মেধার মাধ্যমে স্মার্ট দেশ গড়তে চাই। আপনারা মেধাবীদের হাতে দেশ তুলে দিন, এ মেধাবীরাই দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীদের একটি দল হাইকোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে যান। এ সময় শিক্ষার্থীরা ৩০ জুনের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
আপন দেশ/এসএমএ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।