ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দিনভর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। ছাত্রলীগের কয়েক দফা হামলায় আহত প্রায় তিনশ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের পাল্টা জবাবে আহত হয় ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতাকর্মীও। এর রেশ অব্যহত ছিল মধ্যরাতেও। অমর একুশে হলের সামনের সোমবার রাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের অন্তত দশটি বাইক আটক করে ভাঙচুর করে।
অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গতকাল রাত ১১টার পর মহানগর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা একটি বাইক বহর নিয়ে হলের সামনে এসে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পরে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় নেমে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পিছু হটে। দ্রুত স্থানত্যাগ করতে গিয়ে অনেকে তাদের বাইক ফেলে যায়। শিক্ষার্থীর সেসব বাইক জব্দ করেন, সেগুলো ভাঙচুর করেন।
পরে অমর একুশ হল থেকে ঢাকা মেডিকেলগামী সড়কটি অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে পরে আসা দুজন ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। মারধরের শিকার দুজনই ঢাকার বাইরে থেকে এদিন ছাত্রলীগের কর্মসূচীতে যোগ দিতে ক্যাম্পাসে এসেছিলেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গতকাল আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় তারা জড়িত। এ সময় টিএসসিতে লাঠিসোঁটা ও হকিস্টিক নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেখা যায়। ফলে মধর্যাতে ফের ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দেয়। তবে দু'পক্ষই আর অগ্রসর না হওয়ায় কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য চানখারপুলে মোড়ে থাকলেও তারা অমর একুশে হলের পরিস্থিতি শান্ত করতে কোনো তৎপরতা দেখায়নি। রাত দুইটার পর অমর একুশে হলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। আড়াইটার পরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে হলে ফিরে যান।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।