ছবি : আপন দেশ
বন্যায় দেশে ২ হাজার ৭৯৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের সংস্কার কার্যক্রমের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন প্রায় ৩৩ কোটি টাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে নোয়াখালীর ৭৬৩টি, লক্ষ্মীপুরের ৫০১, ফেনীর ৫৫০, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২২, কুমিল্লার ৫২৩, চাঁদপুরের ১৬৯, চট্টগ্রামের ১৬৪, মৌলভীবাজারের ৭৭, সিলেটের ৮ ও হবিগঞ্জের ২২টি। খাগড়াছড়িতে কোনো বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এগুলো ছাড়াও জেলাভিত্তিক আউট অফ স্কুল চিলড্রেন শিক্ষা কার্যক্রমের শিখন কেন্দ্রসমূহের নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ১৮টি উপজেলার ৯৪৬টি শিখন কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর)‘সাম্প্রতিক বন্যায় প্রাথমিক শিক্ষা সেক্টরে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং করণীয়’ সংক্রান্ত সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনের সময়ে কাজগুলো ইমার্জেন্সি বেসিসে করতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবো।
সভায় জানানো হয়, ফেনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও মৌলভীবাজারের ১ হাজার ৩২১টি বিদ্যালয়ের ১ হাজার ১৫ হাজার ৮২৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২৮ হাজার ৭৩৬টি পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকিগুলোর সমন্বয়ের কাজ চলমান।
ফেনী সদর, দাগনভূঞা, সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, পরশুরাম ও ফুলগাজীর ৫৮২টি বিদ্যালয়ে ৯৭ হাজার ৫৫৩টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার উদ্বৃত্ত পাঠ্যপুস্তক হতে ২৪ হাজার ২৭৬টি পাঠ্যপুস্তক সমন্বয় করা হয়েছে। বাকি পাঠ্যপুস্তকের সমন্বয়ের কার্যক্রম চলমান।
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২,৩০০ পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গুদামে থাকা পাঠ্যপুস্তক থেকে সেগুলো সমন্বয় করা হয়েছে।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ৫৫৯টি বিদ্যালয়ে ১৩,৮১০টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেগুলো সমন্বয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ১০০টি বিদ্যালয়ে ২,১৬০টি পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেগুলোর সমন্বয় করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ, খাগড়াছড়ি, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, জেলায় বন্যায় কোন পাঠ্যপুস্তক ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি মর্মে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পোশাক ও ব্যাগের তালিকা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। বিদ্যালয়গুলোতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্লিচিং পাউডার সংগ্রহসহ অন্যান্য জরুরি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।