Apan Desh | আপন দেশ

মাভাবিপ্রবিতে ’গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব, মাওলানা ভাসানী’ শীর্ষক আলোচনা সভা

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:৫২, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৭:৫৩, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

মাভাবিপ্রবিতে ’গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব, মাওলানা ভাসানী’ শীর্ষক আলোচনা সভা

ছবি: আপন দেশ

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) ‘গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও মাওলানা ভাসানী’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় অ্যাকাডেমিক ভবনের সেমিনার হলে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস-এর অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ। 

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাওলানা ভাসানী স্টাডিজ কোর্সের শিক্ষক সৈয়দ ইরফানুল বারী। সেমিনার উপকমিটির আহ্বায়ক আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ ওয়াহিদ স্বাগত বক্তব্য দেন।

মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. মহিউদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মতিউর রহমান এবং ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোছা. নুরজাহান খাতুন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, মাওলানা ভাসানীর  তিনকাল; ভারত, পাকিস্তান ও আসাম। এর মধ্যে তার জন্য আসামে ছিল কঠিন জীবন। কারণ তিনি আসামে লাইন প্রথা বিরোধী, বাঙ্গাল-খেদা ও আসাম-বাংলা সার্ববৌম রাষ্ট্র গঠনে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে জীবনের সবচেয়ে বেশি সময় পার করেছেন। 

তিনি আরও বলেন, মাওলানা ভাসানী পা থেকে মাথা পর্যন্ত রাজনীতিবিদ ছিলেন। কেউ ভাসানীকে বলেছেন রাজনীতিবিদ, কেউ বলেছেন সমাজতন্ত্রবিদ, আবার কেউ বলেছেন ধর্মীয় নেতা বা পীর। যেহেতু ইসলামে সবকিছুই আছে তাই তিনি ইসলামি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, সমাজে এখন ব্যাপক কর্ম সংকট। লক্ষ লক্ষ যুবক শিক্ষা উপযোগী কাজ পাচ্ছে না। প্রকৃত গণতন্ত্র আমাদের দেশে নেই। গণতন্ত্র যখন পুরোপুরি লক্ষ্যে পৌঁছে তখন সমাজতন্ত্রের বাস্তবায়ন হয়। পুরোপুরি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তখনই সম্ভব হবে যখন দেশের শিক্ষা, চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে।

প্রধান অতিথি মাওলানা ভাসানীর অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান। এছাড়াও উক্ত আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়