ছবি: সংগৃহীত
প্রশাসনের লোক পরিচয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) দুই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে মারধর ও ছিনতাই করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়ার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর শহরের চৌরঙ্গী মোড়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন- সাকিব (২৫), দেলোয়ার হোসেন (৩০), মো. সজল (২২) এবং মো. হৃদয় (২৭)।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরে দুই শিক্ষার্থী অটোরিকশায় দিনাজপুর শহরের বড়বন্দর থেকে চৌরঙ্গী মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় চৌরঙ্গী মোড়ে পৌঁছানোর আগেই সাকিব এবং দেলোয়ার নামে দুইজন তাদের থামিয়ে নিজেদের প্রশাসনের লোক বলে পরিচয় দেন। এ সময় ওই দুই শিক্ষার্থীর কাছে অবৈধ জিনিসপত্র আছে এমন অভিযোগ তুলে তাদের তল্লাশির জন্য কালুর মোড় এলাকার খড়ির কারখানার কাছে নিয়ে যায়। পরে দুজনকে মারধর করে।
এরপর সজল এবং হৃদয় নামের দুইজন সেখানে উপস্থিত হন এবং তাদের কাছে টাকা দাবি করেন। এ সময় তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পুনরায় মারধর করে। তাদের সঙ্গে থাকা বাসা ভাড়া ও পরীক্ষার ফি বাবদ ১৫ হাজার ১৭০ টাকা এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, শনিবার দুপুরে আমাদের প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে পথ আটকায়। তারা অবৈধ জিনিস আছে এমন অভিযোগ তুলে খড়ির কারখানার কাছে নিয়ে মারধর করে এবং টাকা ছিনতাই করে। পাশাপাশি এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে। বাড়াবাড়ি করলে পরবর্তীতে রাস্তায় পেলে খুন, জখম করবে বলে হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, তাদের ভয়ে পথচারী লোকজন কেউ এগিয়ে আসার সাহস পায়নি। তারা পালিয়ে গেলে আমরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতায় তাদের পরিচয় সংগ্রহ করি। এরপর দুজন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থানায় অভিযোগ করি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহা বলেন, ঘটনার বিষয়ে অবগত আছি। ঘটনাটি যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের, তাই এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সরাসরি কিছু করার এখতিয়ার নেই। তবে যে থানায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মামলা করেছে সেখানকার পুলিশ প্রশাসন যেন দ্রুত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসে, সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থানায় যোগাযোগ করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীকে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।
ঘটনার বিষয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মতিউর রহমান বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আসামি আটকের চেষ্টা চলছে। আটকের পর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপন দেশ/এসএমএস
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।