Apan Desh | আপন দেশ

বছরের প্রথম দিনেই সব শিক্ষার্থী বই পাবে না

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

বছরের প্রথম দিনেই সব শিক্ষার্থী বই পাবে না

ফাইল ছবি

নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে দুই দিন বাকি। তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এখনও বিপুলসংখ্যক পাঠ্যবই ছাপাতে ব্যর্থ। ফলে বছরের প্রথমদিন সব শিক্ষার্থী বই পাবে না।

এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, এ বছর প্রাথমিকের ১ম থেকে ৩য় শ্রেণির বই প্রায় সবই ছাপা হয়েছে। সেগুলো উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছেও দেয়া হয়েছে। তবে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির বই এখনও ছাপানো শুরু হয়নি। মাধ্যমিক স্তরের বইগুলোর ছাপার কাজও সম্পন্ন হয়নি। বই পেতে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে প্রাথমিকের ৪র্থ-৫ম শ্রেণি শিক্ষার্থীদের। তবে মাধ্যমিক স্তরের বইগুলো শিক্ষার্থীরা ফেব্রুয়ারিতে পাবে।

এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা শিক্ষার্থীদের হাতে ১ জানুয়ারি কিছু না কিছু বই পৌঁছে দেয়ার জন্য বিশেষ কৌশল গ্রহণ করেছেন। যেমন—প্রতিটি উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির কিছু বই, সপ্তম শ্রেণির কিছু বই, কিংবা দশম শ্রেণির দুটি বই বিতরণ করা হবে। যাতে করে কোথাও বই না পৌঁছানোর অভিযোগ না ওঠে। তবে এসব বই শিক্ষার্থীদের পূর্ণ পাঠ্যবইয়ের সংগ্রহ হবে না। বিশেষ করে মাধ্যমিক স্তরের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বই পাবে না।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, প্রায় ৪০ কোটি বই ছাপানোর কাজ চলছে। কিন্তু বই ছাপানোর শুরুর প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছাতে সময় লাগবে। ১ জানুয়ারি প্রাথমিকের ১ম থেকে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কিছু বই দেয়া হবে। তবে ৪র্থ-৫ম ও মাধ্যমিকের বই হাতে পাওয়ার জন্য জানুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

এ বছর পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্বের অন্যতম কারণ রাজনৈতিক পটপরিবর্তন। নতুন শিক্ষাক্রমের পরিবর্তে পুরনো শিক্ষাক্রমে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে বইয়ের পরিমার্জন ও ছাপা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ঘঠে। 

এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানান, এ পরিবর্তনের কারণে বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। বইয়ের মান নিয়েও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

মুদ্রণ শিল্পের নেতারা জানান, এখনও পর্যন্ত ছাপানো বইয়ের সংখ্যা এনসিটিবি যেটা জানিয়েছে সে অনুযায়ী নয়। আগামী দ’দিনে এক কোটি বই ছাপানো সম্ভব হবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। এর ফলে ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছানো সম্ভব হবে না। 

এনসিটিবি জানায়, বই বিতরণে দেরি হলেও ১ জানুয়ারি থেকে তারা তাদের ওয়েবসাইটে সব বইয়ের পিডিএফ কপি আপলোড করবে। এতে করে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বইয়ের কপি ডাউনলোড করে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে নিতে পারেন। তবে পাঠ্যবই বিতরণে এ বিলম্ব নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকরা হতাশ। তারা শিক্ষাবর্ষের শুরুতে সব বই বিতরণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানাচ্ছেন।

এনসিটিবি সূত্র জানায়, এবার মোট ৪০ কোটি বই ছাপানোর কাজ চলমান। যার মধ্যে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজার বই প্রাথমিকের জন্য ও ৩০ কোটি ৯৬ লাখ ১২ হাজার বই মাধ্যমিক স্তরের জন্য ছাপানো হচ্ছে। তবে বইয়ের ছাপার কাজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় পুরো জানুয়ারি মাস লেগে যেতে পারে।

আপন দেশ/এমবি


 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়