Apan Desh | আপন দেশ

পাঠ্যবইয়ে ‘জাতির পিতা’ উপাধি ছাড়াই বঙ্গবন্ধু 

নিজস্ব প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ১২:২১, ১ জানুয়ারি ২০২৫

আপডেট: ১২:২২, ১ জানুয়ারি ২০২৫

পাঠ্যবইয়ে ‘জাতির পিতা’ উপাধি ছাড়াই বঙ্গবন্ধু 

সংগৃহীত ছবি

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য বিনামূল্যের নতুন পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যৌক্তিক ও ভারসাম্যপূর্ণভাবে তুলে ধরার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাঠ্যবইয়ে যথাযথ মর্যাদায় স্থান পেয়েছেন, 

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যৌক্তিকভাবে তুলে ধরা হবে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারের বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ে। পাঠ্যবইয়ে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ‘বঙ্গবন্ধু’ হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানও থাকছেন যথাযথ মর্যাদায়। থাকছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চও। বাদ যাচ্ছে না ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু খেতাব পাওয়ার বিষয়টিও। তবে এবার তার নামের সঙ্গে ‘জাতির পিতা’ উপাধি থাকছে না।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এ রিয়াজুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু আছেন ৭ মার্চের জায়গায়, উনি বঙ্গবন্ধু হিসেবে আছেন। ১৯৬৯ সালে তাকে বঙ্গবন্ধু খেতাব দেয়া হয়েছে সেটাও আছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান ততটুকুই আছে।

তবে জাতির পিতা হিসেবে থাকছেন কি না সে বিষয়ে রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘জাতির পিতা’ ব্যবহার করা হয়নি। বিষয়টি পাঠ্যবইয়ে রাখতে সবাই একমত হননি।

বিষয়টি তিনি আরও বলেন, এক নেতার এক দেশ— এ ধারণা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা আরও অনেক নেতা রয়েছেন। তাদের রাখা হচ্ছে। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, তাজউদ্দিন আহমেদসহ যার যতটুকু আবদান তা রাখা হচ্ছে। অতিরঞ্জিত ইতিহাস বাদ যাচ্ছে।

এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, পাঠ্যবইয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে অতিরঞ্জিত করে কাউকে উপস্থাপন না করে যার যতটুকু অবদান তাকে ততটুকুই রাখা হচ্ছে। কাউকে খাটো করা হচ্ছে না।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার পেক্ষাপটে যাদের গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী চরিত্র মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী ও জাতীয় নেতা তাজউদ্দিন আহমেদ।

মুক্তিযুদ্ধের পেক্ষাপটে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার (পরবর্তী কালে রাষ্ট্রপতি) মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে পাঠ্যবইয়ে।

জিয়াউর রহমানের ইতিহাস তুলে ধরার ক্ষেত্রে তাকে বেশি করে দেখানো হচ্ছে কি না জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, কারও ক্ষেত্রেই অতিরঞ্জিত কিছু থাকছে না। পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস তুলে ধরার ক্ষেত্রে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের যতটুকু রাখা যায়, ততটুকুই থাকছে।

এছাড়া সংক্ষিপ্ত পরিসরে হলেও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হবে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত আবু সাঈদকে।

এদিকে নতুন পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের দেয়াল লিখন ও দেয়ালচিত্র। থাকছে ধর্মীয়সহ নীতিবাক্য। পাঠ্যইয়ের ভেতরে আবু সাঈদের ছবিসহ তার ওপর লেখা যুক্ত করা হচ্ছে।

ইসলাম ধর্মীয় পাঠ্যবইয়ে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ক্যালিওগ্রাফি। অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, পাঠ্যবইয়ে ক্যালিওগ্রাফির ধরনে আল কোরআন ও আল হাদিস থাকছে। এছাড়া বৌদ্ধ ধর্মীয় পাঠ্যবইয়ে গৌতম বুদ্ধের বাণী, একইভাবে খ্রিষ্টান ধর্মের বইতে খ্রিষ্টের বাণী ও হিন্দু ধর্মীয় বইয়ে তাদের বাণী থাকছে।

আপন দেশ/এমবি


 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়